মিরপুরে পুলিশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এপিবিএন ও আ. লীগ নেতাকর্মীরা

মিরপুর ১০ গোলচত্বর এলাকায় আন্দোলনকারী-পুলিশ সংঘর্ষে যুক্ত হয়েছে এপিবিএন সদস্যরা। ছবি: মামুনুর রশীদ/স্টার

ঢাকার মিরপুরে পুলিশের সঙ্গে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন যোগ দিয়েছে। এর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দিনভর সংঘর্ষের মধ্যে এপিবিএন যোগ দেওয়ায় বিকেল ৪টার পর সংঘর্ষ নতুন মাত্রা পায়।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, মিরপুর ১০ গোলচত্বরকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের অবস্থান ছিল মিরপুর মডেল থানার দিকে। সেখান থেকে গোলচত্বর এলাকায় থাকা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে দফায় দফায় টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ চলছিল। অন্যদিক থেকে মুহুর্মুহু ইটপাটকেল ছোড়েন আন্দোলনকারীরা। পরে বিকেল ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে এপিবিএন ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়ে গোলচত্বরের দিকে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করেন। এ সময় শটগানের ছররা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন।

মিরপুর-১০ এলাকার বিভিন্ন সড়কে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ছবি: মামুনুর রশীদ/স্টার

এ সময় পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিরপুর-১০ গোলচত্বরের আশপাশের এলাকার ভেতরের সড়কগুলোতে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করে। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদেরকেও সংগঠিত হয়ে পাল্টা ধাওয়া করতে দেখা যায়। তবে ৫টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিরপুর-১০ গোলচত্বর আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

BDR carnage rooted in 'long-term plot', says investigation commission

Evidence suggested that some political leaders were involved, according to commission chief

Now