অলিম্পিকে দ্বিতীয় রাউন্ডেই মুখোমুখি নাদাল-জোকোভিচ!

টেনিস জগতে সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচ। রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম তার দখলে, সঙ্গে ৪০টি মাস্টার্স। কিন্তু কখনোই অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিততে পারেননি এই সার্বিয়ান। একটি মাত্র ব্রোঞ্জই তার সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সেই আক্ষেপ মেটানোর শেষ সুযোগ পাচ্ছেন প্যারিস অলিম্পিকে। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডেই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ রাফায়েল নাদালের মুখোমুখি হতে হবে তাকে।

এর আগেও অলিম্পিকে মুখোমুখি হয়েছিলেন নাদাল ও জোকোভিচ। বেইজিংয়ে ২০০৮ সালের অলিম্পিকে সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা। সেই লড়াইয়ে জোকোভিচকে ৬-৪, ১-৬ ও ৬-৪ ব্যবধানে জিতেছিলেন নাদাল। শেষ পর্যন্ত স্বর্ণপদকও জিতেছিলেন এই স্প্যানিশ।

দুই জনের মধ্যকার শেষ লড়াই হয়েছে রোলাঁ গারোঁতেই। ২০২২ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে সেবার নাদাল জিতেছিলেন ৬-২, ৪-৪, ৬-২ ও ৭-৬ ব্যবধানে। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে নাদালের চেয়ে এগিয়ে আছেন জোকোভিচ। দুই তারকার মধ্যে মোট ৫৯ লড়াই হয়েছে। যেখানে জোকোভিচ জিতেছেন ৩০ ম্যাচে। তবে খুব বেশি পিছিয়ে নেই নাদালও। তিনি জিতেছেন ২৯ ম্যাচে।

অবশ্য অনেক দিন থেকেই চোটের সঙ্গে লড়াই কোর্টে থাকা নাদাল তেমন ফর্মে নেই। নিজের স্বর্গরাজ্য ক্লে কোর্টে এবার বাদ পড়ে যান প্রথম রাউন্ডে। অলিম্পিকে নিজেকে ফিট রাখার জন্য উইম্বলডন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন। ইউএস ওপেনে নথিভুক্ত হলেও কদিন আগে সুইডিশ ওপেনের ফাইনালে হারার পর অবসরের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

তবে ক্লে কোর্টের রাজাই বলা হয় নাদালকে। ২২টি আসরে অংশ নিয়ে জিতেছেন রেকর্ড ১৪টি শিরোপা। ফলে যে কোনো সময়ই ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখেন এই স্প্যানিশ তারকা। যদিও এই কোর্টে এবার ফ্রেঞ্চ ওপেনে চতুর্থ বাছাই ও গতবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন আলেকজান্ডার জভেরেভের সঙ্গে ৩-৬, ৭(৭)-৬ (৬) ও ৩-৬ ব্যবধানে হেরে যান তিনি।

বৃহস্পতিবার প্যারিস অলিম্পিকের টেনিস ইভেন্টের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রথম রাউন্ডে নাদাল মুখোমুখি হবেন হাঙ্গেরির মার্টন ফুসোভিচের বিপক্ষে। অন্যদিকে জোকভিচ লড়বেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ এবডেন বিপক্ষে। প্রথম রাউন্ডে নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হবেন টেনিস ইতিহাসের সেরা দুই তারকা।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh rubber imports rise 33 percent FY25

Rubber imports rose 33% last fiscal year

Bangladesh’s rubber imports surged by 33 percent year-on-year in the fiscal year 2024-25 (FY25), as local industries faced shortages due to supply disruptions from domestic producers.

13h ago