আহত শিশু-তরুণদের পুনর্বাসনে আমরা কাজ শুরু করেছি: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

আহত শিশু-তরুণদের পুনর্বাসনে আমরা কাজ শুরু করেছি: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
শারমিন এস মুরশিদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা সরকারের প্রধান দায়িত্ব মন্তব্য করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ জানিয়েছেন, তারা শিশু-তরুণদের পুনর্বাসনে কাজ শুরু করেছেন।

আজ সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে তিনি চিকিৎসাধীন আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।

নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে শারমিন বলেন, 'আমাদের পেছনের ভুলগুলোকে আমরা দ্বিতীয়বার ঘটতে দেবো না। আমাদের বাচ্চারা যারা এই যুদ্ধ করল, তাদের প্রতিষ্ঠা, তাদের পুনর্বাসন, তাদের সুস্বাস্থ্য, আমাদের প্রধান দায়িত্ব। তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে হবে, কর্মে ফিরিয়ে আনতে হবে, মূলধারায় একটি নিরাপদ জীবন দিতে হবে। এইটুকু যদি আমরা না করতে পারি, তাহলে আমরা কৃতজ্ঞ একটি জাতি বলে আমি মনে করবো।'

আহত শিশুরা হাসপাতালে সযত্নে আছে বলেও এ সময় জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'অনেক বাচ্চারা মানসিকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। অনেকে তাদের কর্মজীবন হারিয়ে ফেলেছে। সেখানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি নৈতিক দায়িত্ব আছে। প্রত্যেকটা হাসপাতাল থেকে নিবন্ধিত রোগী যারা আছে, তাদের তালিকা আমরা নেব। তার ভিত্তিতে আমরা তথ্যভাণ্ডার ও ডেমোগ্রাফিক ম্যাপ করবো। সে অনুযায়ী, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অ্যাকশন প্ল্যান করবো। আমাদের এই পুনর্বাসনের কাজ শুরু হলো।

'এই বাচ্চারা সুস্থ না থাকলে, এরা পুনর্বাসিত না হলে এই দেশ সুস্থ থাকবে না। আমরা কেউ সুস্থ থাকব না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় যত প্রকল্প আছে, প্রোগ্রাম আছে। সেগুলো আমরা এই বাচ্চাদের ওপরে ফোকাস করে সাজাতে যাচ্ছি। যাতে আমাদের কোথাও আটকাতে না হয়,' বলেন তিনি।

শারমিন বলেন, 'আমি বাচ্চাদের দেখে গেলাম। তাদের সুচিকিৎসা আমাদের সরকারের প্রধান দায়িত্ব। তাদের মঙ্গল কামনায় আমরা রয়েছি।'

তিনি বলেন, 'আমরা হাসপাতাল থেকে শুরু করছি। কারণ হাসপাতাল থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাব। আমরা জানি, সেখানে কিছু ঘাটতি থাকবে। আমাদের চেষ্টা থাকবে সেই ঘাটতি যতটুকু সম্ভব পূরণ করার।'

অনেক বেসরকারি হাসপাতালের কিছু রোগী ভর্তি আছেন। আইএসপিআর (আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) থেকে তাদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে, তারা বিল পরিশোধ করতে পারছেন না—গণমাধ্যমকর্মীরা এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শারমিন বলেন, 'মন্ত্রণালয় থেকে একটি সমন্বয় সেল করা হবে। সেখানে তথ্য দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Remittance-rich Sylhet ranks poorest in new index

Long seen as the “London of Bangladesh” for its foreign earnings and opulent villas, Sylhet has been dealt a sobering blow. The country’s first Multidimensional Poverty Index (MPI) has revealed that the division is, in fact, the poorest in Bangladesh when measured by access to education, healthc

5h ago