‘নিরাপত্তার কারণে’ মন্ত্রণালয়ে সভা, মধ্যরাতে জানাল বিসিবি

ছবি: বিসিবি

বিসিবির জরুরি সভা আহবানের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই শুরু হয় নানামুখী গুঞ্জন। বুধবারের সভাতেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ইস্তফা দিতে যাচ্ছেন বলেও জোরালো আভাস পাওয়া যায়। তবে বিসিবির এই সভা নিজেদের কার্যালয়ে না করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে কেন করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

বিসিবিতে যেকোনো ধরণের সরকারি হস্তক্ষেপ করা আইসিসির আইনের লঙ্ঘন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সভা তাই তৈরি করে ধোঁয়াশা। শেষ পর্যন্ত মধ্যরাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানানো হয়, মূলত নিরাপত্তার কারণেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বিসিবির মিডিয়া বিভাগ জানায়, জরুরি সভাটি বাংলাদেশ সচিবালয়ের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স কক্ষে হবে সকাল ১১টায়। বিসিবিই নাকি মন্ত্রণালয়কে একটি নিরাপদ ভেন্যু দেওয়ার আহবান করেছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত। এই সভায় ছবি, ফুটেজ নেওয়ার সুযোগ নেই গণমাধ্যমের। বিসিবিই তা গণমাধ্যমে সরবরাহ করবে। এমনকি সভার পর হবে না কোন সংবাদ সম্মেলনও।

মঙ্গলবার বিভিন্ন পরিচালকের বরাতে জানা যায়, বোর্ড সভাপতির পক্ষে এই সভা ডেকেছেন প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। ক্ষমতার পালাবদলের পর বর্তমান সভাপতি বর্তমানে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন বলে খবর। বোর্ড সভা একমাত্র তারই ডাকার এখতিয়ার আছে। এক্ষেত্রে তার হয়ে সভা ডাকার বার্তা দেন প্রধান নির্বাহী।

এই সভায় ভার্চুয়ালি বিসিবি প্রধান উপস্থিত থাকতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। সভায় উপস্থিত থেকে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেও গুঞ্জন। তবে তার কাছ থেকে সরাসরি কিছু জানা যায়নি।

এই সভায় বোর্ড কীভাবে পরিচালিত হবে সেই আলোচনা হবে বলে জানান খালেদ মাহমুদ সুজন। দেশের বাইরে থাকা আরেক পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানিয়েছেন, তিনি সভায় ভার্চুয়ালিও অংশ নিচ্ছেন না। আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ অন্য পরিচালকদের অংশ নেওয়ারও সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।  

নির্বাচিত বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের সুযোগ না থাকলেও এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যাতে বর্তমান পরিচালকদের বাস্তবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অবস্থা নেই। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ কাউকেই আর বোর্ডে চাইছে না। তারা স্বেচ্ছায় পদ ছেড়ে দিলে সহজেই মিলতে পারে সমাধান।

এদিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত হয়ে যে দুজন পরিচালক বোর্ডে এসেছিলেন তাদের পদত্যাগ করতে বলা হয় সোমবার। মন্ত্রণালয়ের কথা মেনে পদ ছেড়ে দেন জালাল ইউনুস। মনোনীত আরেক সদস্য আহমেদ সাজ্জাদুল আলম পদত্যাগে রাজী নন। তিনি জানিয়েছেন, ক্রীড়া পরিষদ চাইলে তাকে অব্যাহতি দিতে পারে।

এই দুজনের জায়গায় সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ ও ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে পরিচালক করে বোর্ডে নিতে চায় ক্রীড়া পরিষদ। এরমধ্যে ফারুক আহমেদকে সভাপতি করা হতে পারে বলেও বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Central bank at odds with BPO over Nagad’s future

The discord became apparent after Faiz Ahmed Taiyeb, special assistant to the chief adviser with authority over the Ministry of Posts, Telecommunications and IT, sent a letter to the BB governor on May 12 and posted the letter to his Facebook account recently

2h ago