এখনো ঝুঁকিপূর্ণ গোমতী নদীর বাঁধ, নতুন করে প্লাবিত সদরের ৬ গ্রাম

এখনো ঝুঁকিপূর্ণ গোমতী নদীর বাঁধ, নতুন করে প্লাবিত সদরের ৬ গ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও এখনো ঝুঁকিপূর্ণ গোমতী নদীর বাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছেন, পানি বিপৎসীমার নিচে না আসা পর্যন্ত শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

আজ শনিবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা পূর্বাঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ দুপুর ১২টায় গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।'

তিনি বলেন, 'উজান থেকে আসা পানি গোমতীর পানি বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় প্রবেশ করছে। প্রতি ঘণ্টায় পানির সমতল করছে এক থেকে দেড় সেন্টিমিটার।'

এদিকে বুড়বু‌ড়িয়া এলাকায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে আদর্শ সদর উপজেলার সিমরা, বলেশ্বর, রামপুর, রসুলপুর, ভুবনঘর, শালুকমুরা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এর আগে বুড়িচং উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন সম্পূর্ণ ও দুটি ইউনিয়ন আংশিক প্লাবিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহিদা আক্তার ডেইলি স্টারকে জানান, বুড়িচং উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এক লাখ ৭৫ হাজার। এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১০ হাজার ৪৫ জন। এখনো পানিবন্দি ৪৩ হাজার ৭৫০ পরিবার।

স্থানীয়রা ৫০০ গরু, ১০০ ছাগল আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন।

পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গতকাল বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ব্যাটারি ব্যাকআপ শেষ হয়ে যাওয়ায় সচল নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বুড়িচং উপজেলায় বেশির ভাগ গ্রাম প্লাবিত। কোথাও কোথাও বিদ্যুতের মিটার পানিতে নিমজ্জিত। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করলেই দুর্ঘটনা ঘটবে।'

তিনি আরও বলেন, 'কয়েকটা মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলে সঞ্চালন লাইন থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পানি কমলেই সংযোগ চালু করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
July Declaration: Where is the roadmap for our future journey?

July Declaration: Where is the roadmap for our future journey?

Denigration of our Liberation War will never be acceptable

8h ago