ধান কাটার মৌসুমের মতো দাবি আদায়ের মৌসুম শুরু হয়েছে: জ্বালানি উপদেষ্টা

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দাবি আদায়ে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো পক্ষের বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ধান কাটার মৌসুমের মতো এখন দাবি আদায়ের মৌসুম শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে আন্দোলনে থাকা আনসারদের হামলায় আহত শিক্ষার্থীসহ অন্যদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান উপদেষ্টা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।   

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, 'প্রত্যেক দাবির একটা আর্থিক সংশ্লেষ আছে। এতে সরকারের ব্যয় বাড়বে। সরকারের রাজস্ব হঠাৎ করে রাতারাতি বাড়বে না। ফলে সরকার কীভাবে এসব দাবি স্বল্প সময়ে পূরণ করবে?'

সবার দাবি পূরণ করতে হলে সরকারকে টাকা ছাপাতে হবে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। মূল্যস্ফীতি বাড়লে বাজারে আলুর দাম ৮০ টাকা হবে, পটলের দাম বেড়ে যাবে, তেলের দাম ২০০ টাকা ছোঁবে, পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা হবে। জনসাধারণ সাফার করবে। 

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে ফাওজুল করিম খান বলেন, 'নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আসলে আমরা আলাপ করতে রাজি। এমন হয়নি যে কোনো উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।' 

উপদেষ্টা আরও বলেন, 'এই সরকারের ম্যান্ডেট খুব স্ট্রং। ছাত্র-জনতা রাজপথে রক্ত দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে। সুতরাং কেউ যেন মনে না করে যে এই সরকার বানের জলে ভেসে আসা সরকার।'

আওয়ামী লীগ আমলের বিভিন্ন অপকর্মের প্রসঙ্গ স্মরণে এনে উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা ন্যায্য দাবি ও বৈষম্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তবে বৈষম্য বিলোপের জন্য আমাদের সময় দিতে হবে।'

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, জনপ্রত্যাশাকে পূরণ করতে যত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সরকার তা নেবে।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago