দু-একদিনের মধ্যে প্রত্যাহার হতে পারে আরও ৩৯ ডিসি

এর আগে কখনোই এত অল্প সময়ের মধ্যে ৬৪ জেলার ডিসি বদলানো হয়নি।

আগামী দু-একদিনের মধ্যে আরও ৩৯ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার করতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রত্যাহারের একদিন পর জেলাগুলোতে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হবে।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।

গত ২০ আগস্ট যেসব জেলা থেকে ডিসি প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেসব জেলায় গতকাল ২৫ জন ডিসি নিয়োগ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ডিসিরা জেলাগুলোতে বেসামরিক প্রশাসনের প্রধান। তারা স্থানীয় শাসনের তত্ত্বাবধানে জনসেবা কার্যকরভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, 'সরকার ডিসিদের প্রত্যাহারের একদিন পরে সেখানে নতুন ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দেবে।'

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, এর আগে কখনোই এত অল্প সময়ের মধ্যে ৬৪ জেলার ডিসি বদলানো হয়নি।

সব ডিসিদের প্রত্যাহার নিয়ে সরকারের মধ্যে কিছুটা দ্বিধা ছিল। অনেকে যুক্তি দিয়েছিলেন, বর্তমানে অনেক যোগ্য কর্মকর্তা ডিসি হিসেবে কর্মরত আছেন এবং তাদের সরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। অন্যদিকে, যারা দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত রয়েছেন, তারা এই ডিসিদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন।

একজন ডিসি বলেন, ২৫ জেলার ডিসি প্রত্যাহার করার পরই তাদের অনেকেই ধারণা করে ফেলেছিলেন যে সব জেলার ডিসিকেই প্রত্যাহার করা হবে। তাই তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন।

তবে সব কর্মকর্তাকে একইভাবে মূল্যায়ন করা অন্যায্য উল্লেখ করে অপর এক জেলার ডিসি বলেন, 'গত সরকারের আমলে সব নিয়োগই পক্ষপাতমূলক ছিল না। বেশির ভাগ কর্মকর্তাই যোগ্যতার ভিত্তিতে ডিসি হয়েছেন। আমরা নির্দলীয় সরকারের কাছ থেকে এমন সিদ্ধান্ত আশা করিনি। আমরা যারা খুবই স্বল্প সময়ের জন্য ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলাম, এটা আমাদের ক্যারিয়ারে দাগ হয়ে থাকবে।'

তিনি বলেন, 'যোগ্যতাই কি তাহলে আমার শত্রু হয়ে গেল?'

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

10h ago