প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদের প্রক্রিয়া নিয়েই ভাবছে বাংলাদেশ

২০১৩ সালের পর ঘরের মাঠে মাত্র ৪টি টেস্ট হেরেছে ভারত

টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ শক্তিশালী ভারত। ঘরের মাঠে তো আরও শক্তিশালী। র‍্যাঙ্কিংয়েও দ্বিতীয় স্থানে তারা। সেই দলটির বিপক্ষে স্বাভাবিকভাবেই বড় চ্যালেঞ্জে পড়বে বাংলাদেশ। যদিও সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে টাইগারদেরও। তবে প্রতিপক্ষ নয়, আপাতত নিজেদের প্রক্রিয়া ঠিক রাখার দিকেই নজর নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক শান্ত বললেন, 'তারা (ভারত) খুব ভালো একটি দল এবং এটা আমরা সবাই জানি। তারা ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং সব জায়গায় দুর্দান্ত। তবে সত্যি বলতে কি, আমরা কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছি না। আমরা শুধু নিজেদের নিয়ে ভাবছি। আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুসরণ করতে পারি এবং আমাদের পরিকল্পনাটি কার্যকর করতে পারি তাহলে খুব ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।'

ভারতের বিপক্ষে তাই ফলাফল নিয়ে না ভেবে নিজেদের প্রক্রিয়া নিয়ে ভাবছেন অধিনায়ক। বিশেষভাবে তাকিয়ে আছেন বোলারদের দিকে, 'আমি যেমনটা বলেছি যে আমি ফলাফল নিয়ে ভাবছি না। আমি শুধুমাত্র প্রক্রিয়া নিয়ে চিন্তা করছি। আগেও বলেছি যে আমাদের যে পাঁচ-ছয় জন বোলার আছে, তাদের ভালো জায়গায় লম্বা সময় ধরে বোলিং করার গুণগত মান রয়েছে। আশা করি পাঁচ-ছয় বোলারের সবাই তাদের কাজ করবে।'

এদিকে লাল বলের ক্রিকেটে ঘরের মাঠের পরিসংখ্যান দুর্দান্ত ভারতের। ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ঘরের মাঠে মোট ৫১টি টেস্ট খেলেছে দলটি। যেখানে হেরেছে মাত্র ৪টি টেস্টে। জয় ৪০টি ম্যাচে। বাকি ৭টি ড্র। পরিসংখ্যান তাই ভারতের পক্ষেই কথা বলছে। আর ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৩টি ম্যাচ খেলে হেরেছে ৩টিতেই।

অন্যদিকে পাকিস্তানে এবার প্রথমবারের মতো শক্তিশালী দলকে হোয়াইটওয়াশ করে ছেড়ে টাইগাররা। তাতে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর বাংলাদেশ। তবে সেটাকে অতীত বলে পেছনে ফেলে সামনে তাকাতে চান শান্ত, 'আমি মনে করি আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তবে সেটা অতীত। আপনি যেমনটা বললেন, এটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে তবে আমরা এখানে একটি নতুন সিরিজ খেলতে এসেছি। ড্রেসিংরুমের বিশ্বাস আমরা এখানে খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব। আমরা ফলাফল নিয়ে ভাবছি না। আমরা আমাদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করার চেষ্টা করছি।'

পাকিস্তানের ভালো ফলাফলের একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অধিনায়ক, 'অনেক খেলোয়াড়ই গত ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে খেলছেন। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অভিজ্ঞ। এই কারণে গত কয়েক বছরে আমরা খুব বেশি আবেগপ্রবণ হই না। আমরা এখন আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আমরা আমাদের খেলা নিয়ে ভাবছি, হারলে বা জিতলে কী হবে তা নিয়ে ভাবছি না। আমরা প্রতিটি ম্যাচেই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। যে কারণে দলকে খুব শান্ত দেখাচ্ছে এবং প্রতিটি পরিকল্পনা অনুসরণ করছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

5h ago