বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার নিহত

ইব্রাহিম আকিল। ছবি: রয়টার্স

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

ইব্রাহিম আকিল নামে ওই কমান্ডারের নিহত হওয়ার বিষয়টি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে। তবে হিজবুল্লাহ এ ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

শুক্রবার দক্ষিণ বৈরুতের শহরতলিতে ইসরায়েল এ বিমান হামলা চালায় বলে খবর বিবিসির। এতে বলা হচ্ছে, নিহত আকিল হিজবুল্লাহর অভিজাত 'রাদওয়ান বাহিনীর' নেতা ছিলেন। হামলার সময় তিনি হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন।

লেবাননের কর্মকর্তারা জানান, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীত ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটির শক্ত ঘাঁটি দাহিয়েহ এলাকায় চালানো ওই হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন।

ওই হামলায় একটি আবাসিক ভবন ধসে পড়ে এবং অন্য ভবনগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন অনেকে।

গত মঙ্গল ও বুধবার হিজবুল্লাহর সদস্যেদের ব্যবহৃত কয়েক হাজার পেজার ও ওয়াকিটকিতে একযোগে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অভূতপূর্ব এই হামলার সঙ্গেও ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ৩৭ জন নিহত ও তিন হাজার আহত হন। এমন ধাক্কার ভেতরেই আরেকটি তীব্র হামলায় আকিল নিহত হওয়ার খবর এল।

গত জুলাইয়ে হিজবুল্লাহর সামরিক প্রধান ফুয়াদ শুকর নিহত হওয়ার পর এই প্রথম বৈরুতে হামলা চালানো হলো।

এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, 'হিজবুল্লাহর অভিজাত রাদওয়ান বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার আকিল, গোষ্ঠীটির অপারেশন স্টাফ ও অন্যান্য কমান্ডারদের সঙ্গে নিহত হয়েছেন।

'তারা দক্ষিণ বৈরুতের দাহিয়াহ এলাকার কেন্দ্রস্থলে একটি আবাসিক ভবনের নিচে জড়ো হয়েছিলেন। লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিলেন।'

ইসরায়েলের গণমাধ্যম হারেটজ বলছে, মঙ্গলবার পেজার বিস্ফোরণে আকিলও আহত হয়েছিলেন। শুক্রবার সকালেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুসারে, ১৯৮০ এর দশকে হিজবুল্লাহতে যোগ দেন আকিল। লেবাননের বাইরে অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। জনসম্মুখে খুব একটা বের হতেন না। বিবৃতিও দিতেন না।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago