কোর্তুয়ার কারণেই চটেছে অ্যাতলেতিকো সমর্থকরা, দাবি সিমিওনের

ম্যাচের প্রথমার্ধ ঠিকঠাক ভাবেই শেষ হয়। কিন্তু বিপত্তি দেখা যায় দ্বিতীয়ার্ধে। রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে যাওয়ার পরপরই। সফরকারী দলের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে জিনিস-পত্র ছুড়ে মারতে শুরু করেন ক্ষুব্ধ অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ সমর্থকরা। যে কারণে এক পর্যায়ে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন রেফারি। আর এই ঘটনার জন্য রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তুয়াকে দায় দিয়েছেন স্বাগতিক দলের কোচ দিয়েগো সিমিওনে।

রোববার রাতে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় মৌসুমের প্রথম মাদ্রিদ ডার্বিতে জয় পায়নি কোনো দলই। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি। ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এদের মিলিতাওয়ের গোলে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে ম্যাচের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় আনহেল কোরেয়ার গোলে সমতায় ফেরে অ্যাতলেতিকো। প্রথমে গোলটি অফসাইড ধরা হয়েছিল। তবে ভিএআরে যাচাই করে মিলে যায় গোল।

তবে মূল ঘটনাটি ঘটে ৬৯তম মিনিটে। রিয়ালের এগিয়ে যাওয়ার উল্লাস তখনো কাটেনি। ক্ষুব্ধ স্বাগতিক সমর্থকদের তোপে ম্যাচ বন্ধ করে দেন রেফারি। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় ম্যাচ বন্ধ থাকে ১৬ মিনিটের মতো। মূলত রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর গ্যালারীর দিকে এগিয়ে কোর্তুয়ার বাঁধভাঙা উদযাপন পছন্দ হয়নি অ্যাতলেতিকো সমর্থকদের। তার দিকে লাইটার ও প্লাস্টিক বোতল ছুড়ে মারেন গোলবারের পেছনে থাকা সমর্থকরা।

ম্যাচ শেষে রিয়াল গোলরক্ষকের আঙুল তুলে সিমিওনে বলেন, 'আপনি গোল উদযাপন করতেই পারেন, কিন্তু সেটা (প্রতিপক্ষ) সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে নয়। গ্যালারির দিকে গিয়ে এমনভাবে নয়। সমর্থকেরা এমনিতেই চটেনি, তাদের চটার কারণ আছে। যে (কোর্তুয়া) এটাকে উস্কে দিয়েছে তাকে নিষিদ্ধ করা উচিত, যদিও তাতে যা ঘটেছে তা সমর্থন করা যায় না।'

উল্লেখ্য, কোর্তুয়ার উত্থান এই অ্যাতলেতিকোতেই। ২০১১ সালে গেঙ্ক থেকে চেলসিতে যাওয়ার পর ধারে চলে আসেন মাদ্রিদের ক্লাবটিতে। এরপর তিন মৌসুম ছিলেন এই ক্লাবে। তখন থেকেই তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ব দরবারে। এরপর চেলসিতে ফিরে গেলেও ২০২৮ সালে যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। যা পছন্দ হয়নি অ্যাতলেতিকো সমর্থকদের। তার উপর তাদের বিপক্ষে গোলের পর কোর্তুয়ার উদযাপন সহ্য হয়নি স্থানীয় সমর্থকদের।

মাঠ থেকে একটি লাইটার কুড়িয়ে রেফারিকে দেন কোর্তোয়া। পরে দেখা যায় সেই লাইটারের মধ্যে একটি ছুঁড়িও লুকিয়ে ছিল। লাউড স্পিকারে দর্শকদের উদ্দেশে এ ধরনের আচরণ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় খেলা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে খেলা শুরু হলেও দর্শকদের এটা–সেটা ছুড়ে মারা বন্ধ হয়নি। কোর্তোয়া ফের অভিযোগ করলে দুই কোচ ও লা লিগা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে ম্যাচ বন্ধ করে দেন রেফারি।

Comments

The Daily Star  | English

SC orders EC to restore Jamaat's registration

The Appellate Division of the SC scrapped a High Court verdict that had declared Jamaat's registration with the EC as a political party "illegal"

1h ago