পগবার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমল ৩০ মাস

ছবি: এএফপি

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) আপিল করে বিশাল সুখবর পেলেন পল পগবা। তার শাস্তির মেয়াদ ৩০ মাস কমে গেল। ডোপ-কাণ্ডে বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি মিডফিল্ডারের চার বছরের নিষেধাজ্ঞা নেমে এলো ১৮ মাসে।

শুক্রবার সিএএসের মহাপরিচালক ম্যাথিউ রিব বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিষিদ্ধঘোষিত মাদক গ্রহণের দায়ে গত ফেব্রুয়ারিতে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন পগবা। তবে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছিল ইতালির জাতীয় ডোপিং-বিরোধী ট্রাইবুন্যাল (নাডো)। তাই ওই সময় থেকেই তার নিষেধাজ্ঞার সময় বিবেচনা করা হয়।

সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ৩১ বছর বয়সী পগবা আগামী বছর জানুয়ারি থেকে অনুশীলন করতে পারবেন। তিনি প্রতিযোগিতামূলক খেলায় ফিরতে পারবেন মার্চ থেকে। ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাসের সঙ্গে তার চুক্তি রয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।

ছবি: এএফপি

শাস্তি কমায় আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে পগবার। এক বিবৃতিতে তিনি পগবা বলেছেন, 'অবশেষ দুঃস্বপ্ন শেষ হলো। আমি সেই দিনের দিকে তাকিয়ে আছি, যেদিন থেকে আবার নিজের স্বপ্নের পথে চলতে শুরু করতে পারব।'

গত বছরের অগাস্টে উদিনেজের বিপক্ষে জুভেন্তাসের ম্যাচের পর পগবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেসময় তার শরীরে টেস্টোস্টেরনের (পুরুষদের প্রধান প্রজনন হরমোন) মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি পাওয়ায় যায়। এর প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল তাকে। তবে দোষ স্বীকার না করে তখনই আপিল করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

২০১৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা পগবা আরও বলেন, 'আমি সব সময় বলে এসেছি যে, আমি সজ্ঞানে কখনও ডোপিং-বিরোধী এজেন্সির নিয়ম ভঙ্গ করিনি। আমি তখন একজন ডাক্তারের দ্বারা নির্ধারিত পুষ্টিকর সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেছিলাম। সেটি পুরুষ অ্যাথলেটদের কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না বা বাড়ায় না।'

ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছয় মৌসুম কাটিয়ে ২০২২ সালে বিনা ট্রান্সফার ফিতে পুরোনো ঠিকানা জুভেন্তাসে ফেরেন পগবা। কিন্তু নিষিদ্ধ হওয়ার আগে খুব অল্প সংখ্যক ম্যাচই খেলতে পারেন তিনি। চোটের সঙ্গে বারবার লড়াই করতে হয় তাকে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago