পাকিস্তানে আবারও শিয়া-সুন্নি সংঘাতে নিহত অন্তত ১৬

কুররাম জেলায় হামলার পর সড়কে অ্যাম্বুলেন্স দেখা যায়। ছবি: ডন
কুররাম জেলায় হামলার পর সড়কে অ্যাম্বুলেন্স দেখা যায়। ছবি: ডন

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শিয়া ও সুন্নিদের সংঘাতে অন্তত ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন নারী ও দুই শিশুও রয়েছে।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

শনিবার একদল সুন্নি আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রহরার মাঝে গাড়িবহর নিয়ে আগাচ্ছিলেন। এ সময় তারা আক্রান্ত হন।

কুররাম জেলা প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে এএফপিকে এই তথ্য জানান।

'এই হামলার ফলে তিন নারী ও দুই শিশুসহ মোট ১৪ জন নিহত হন। আরও ছয় জন আহত হন', জানান তিনি।

কর্মকর্তা আরও জানান, ফ্রন্টিয়ার পুলিশের সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে দুই হামলাকারী নিহত হন। তাদের শিয়া মতাবলম্বী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কোহাত বিভাগের কুররাম জেলার শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে সংঘাতের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এক কালে এ অঞ্চলটি অর্ধ-স্বায়ত্তশাসিত ছিল। গত কয়েক বছরে এ ধরনের সংঘাতে এই এলাকার হাজারো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

জুলাই মাসে জমি-জমা সংক্রান্ত বিবাদে এই দুই সম্প্রদায়ের সংঘাতে ৩৫ জন নিহত হন। স্থানীয় নেতাদের শালিসের (জিরগা নামে পরিচিত) সিদ্ধান্তে সংঘাতে বিরতি দেওয়া হয়।

এরপর সেপ্টেম্বরে টানা ছয় দিন ধরে দুই পক্ষের সংঘাত চলে। এতে অন্তত ৩৭ জন নিহত হন।

কমকর্তারা নতুন করে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ও সন্ধি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।

গোত্র ও পরিবারের মাঝে এ ধরনের সংঘাত পাকিস্তানে নতুন নয়।

তবে খাইবার পাখতুনখোয়ার মতো পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে এ ধরনের সংঘাত বেশি দেখা দেয়।

ঐতিহাসিকভাবে সুন্নিপ্রধান পাকিস্তানে শিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নির্যাতন, সহিংসতা ও বৈষম্যের অভিযোগ রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

JnU second campus: Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

4h ago