রোমাঞ্চ জাগিয়ে পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

Pat Cummins
প্যাট কামিন্স, (ফাইল ছবি)

মিচেল স্টার্ক আর প্যাট কামিন্সের তোপে খুব বড় পুঁজি পায়নি পাকিস্তান। রান তাড়ায় স্টিভেন স্মিথ-জস ইংলিসের ব্যাটে  তাই সহজেই লক্ষ্যের দিকে এগুচ্ছিলো অস্ট্রেলিয়া। তবে হারিস রউফের এক স্পেলে বদলে যায় ম্যাচের ছবি, জেতার আশা জাগে পাকিস্তানেরও। যদিও বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও দলকে নিরাপদে তীরে ভিড়িয়েছেন অজি কাপ্তান কামিন্স।

সোমবার মেলবোর্নে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করে পাকিস্তানের করা ২০৪ রান টপকে যেতে ৩৩.৩ ওভারের বেশি খেলতে হয়নি স্বাগতিকদের, তবে তারা ৮ উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে হারের শঙ্কাও পড়েছিলো।

বোলিংয়ে ৩৯ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩১ বলে ৩২ করে দলের জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন কামিন্স। জয় থেকে ৪৯ রান দূরে থাকতে ৭ উইকেট হারিয়ে কেঁপে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স এক প্রান্ত আগলে ঠাণ্ডা মাথায় কাজ সেরেছেন।

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ২৪ রানের মধ্যে মিচেল স্টার্কের তোপে ফিরে যান দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও সাইম আইয়ুব।

এরপর দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ বাবর আজম ও নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। জুটিটি অবশ্য বেশি দূর এগোয়নি। ৪৪ বলে ৩৭ করা বাবরকে বোল্ড করে অজিদের দাপট ফেরান অ্যাডাম জাম্পা। খানিক পর দারুণ এক লাফানো ডেলিভারিতে কামরান গোলামকে তুলে নেন কামিন্স।  রান পাননি আগা সালমানও।

রিজওয়ান টিকে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে ফিফটির আগে তারও বিদায়। মারনাশ লাবুশানের স্পিনে ৭১ বলে ৪৪ করে থামেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

শেষ দিকে পাকিস্তানের রান দুইশো ছাড়ায় ইরফান খান, শাহীন আফ্রিদি ও নাসিম শাহর ব্যাটে। এরমধ্যে নাসিম দেখান নিজের সেরা ব্যাটিং ঝলক। ৩৯ বলে ৪ ছক্কায় ৪০ করে ফেলেন তিনি।

রান তাড়ায় শুরুতে ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়াও। তৃতীয় ওভারে ১ রান করে শাহীনের শিকার হন ম্যাথু শর্ট। জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুর্ক কাটা পড়েন নাসিম শাহর বলে। ২৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে অজিরা।

তবে এরপরই স্টিভেন স্মিথ আর জস ইংলিসের মোড় ঘোরানো জুটি। তৃতীয় উইকেটে দুজনে মিলে যোগ করেন ৮৫ রান। ফিফটির আগে দুজনেই থেমেছেন। ৪৪ করে হারিস রউফের শিকার হন স্মিথ, ৪২ বলে ৪৯ করা ইংলিস ক্যাচ দেন শাহীনের বলে।

লাবুসানেও ক্যাচ দেন হারিসের বলে। আপারকাট করতে গিয়ে থার্ড ম্যানে ধরা দেন ১৩ বলে ১৬ করা ব্যাটার। এরপর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই হারিসের বলে কিপারের হাতে জমা পড়েন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করা হারিস ওই স্পেলে দারুণ গতি দিয়ে জমিয়ে দেন ম্যাচ।

অতি দ্রুত কাজ সারতে গিয়ে আচমকা পর পর চার উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিক দল। ২ উইকেটে ১৩৯ থেকে ৬ উইকেটে ১৩৯ রানে পরিণত হয় তারা। দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে পাকিস্তান।

মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে অ্যারন হার্ডিও আউট হয়ে গেলে জেতার ভালো সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায় সফরকারীদের।

শন অ্যাবটকে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন কামিন্স। ১৫৫ রানে ৭ উইকেট পড়ার পর অ্যাবটকে নিয়ে কামিন্স যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ৩০ রান।  দলের ১৮৫ রানে অ্যাবট রান আউটে কাটা পড়ে ফের ভয় বাড়ে অজিদের। তবে স্টার্ককে এক পাশে রেখে জয় তুলে নিতে সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের। 

Comments

The Daily Star  | English

Stocks fall on poor performance of large companies

Indexes of the stock market in Bangladesh declined yesterday on rising the day before, largely due to the poor performance of Islami Bank Bangladesh along with the large-cap and blue-chip shares amid sales pressures..Large-cap refers to shares which account for large amounts in market capi

2h ago