মেরামতের ১১ মাসেই বেহাল আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক মহাসড়ক

পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দ ছাড়াও ৫০ মিটার পর পর বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ছবি: স্টার

বরগুনার আমতলী থেকে তালতলী হয়ে ফকিরহাট পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কটি মেরামতের ১১ মাসেই কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে আবারও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বলছে, সড়ক মেরামতে ঠিকাদার সগির হোসেনকে বারবার চিঠি দিলেও তিনি তাতে সাড়া দিচ্ছেন না।

আমতলী এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, সড়কটির মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশ মেরামতে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করে এলজিইডি। বরগুনার ঠিকাদার মো. সগির হোসেন ওই সড়ক নির্মাণের কাজ পান।

এর ভেতর দুই প্যাকেজের কাজ ২০২২ সালের শেষের দিকে শেষ হলেও তারিকাটা থেকে কচুপাত্রা পর্যন্ত তৃতীয় প্যাকেজের কাজ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ করেন ঠিকাদার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার সগির আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কার্যাদেশ অনুসারে কাজ না করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজটি শেষ করেছেন তিনি।

ওই সড়কে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালান মানিকঝুরি এলাকার মো. শাহ আলম তালুকদার। তিনি বলেন, মেরামতের ১১ মাসেই যে বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করাই দায়।

তারিকাটা এলাকার বাসিন্দা মোতালেব মিয়া বলেন, বেহাল সড়কটির জন্য এলাকার লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রতিদিন এই সসড়ক দিয়ে আমতলী-তালতলী উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ ও কয়েকশ যানবাহন চলাচল করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গেছে, পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দ ছাড়াও ৫০ মিটার পর পর বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার সগির হোসেনের বক্তব্য, 'ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের কয়েকটি জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে আমার কি করার আছে?'

ঠিকাদার আরও বলেন, 'সড়কটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য আমাকে এলজিইডি চিঠি দিয়েছে। আমি কাজ করে দেওয়ার কথা বলেছি।'

জানতে চাইলে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী  মো. ইদ্রিস আলী বলেন, 'সড়কটি সংস্কারের জন্য ঠিকাদার সগির হোসেনকে কয়েকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি কাজ করছেন না। তবে তার জামানত আটকে রাখা হয়েছে।'

ঠিকভাবে কাজ না করায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খাঁন।

Comments

The Daily Star  | English
problems faced by Bangladeshi passport holders

The sorry state of our green passports

Bangladeshi passports are ranked among the weakest in the world.

7h ago