‘রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচনী রোডম্যাপ হওয়া যুক্তিযুক্ত’

ড. বদিউল আলম মজুদার। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুদার বলেছেন, আমরা যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো করব, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে অন্তর্বর্তী সরকার।

তিনি বলেন, 'তাদের মধ্যকার সংলাপ বা আলোচনায় তারা কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাবেন। এ প্রক্রিয়ায় একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি হবে। রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকারের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রোডম্যাপ তৈরি হওয়াটাই সঠিক।'

'কোন কোন সংস্কারের ব্যাপারে তারা একমত হবে, সেসব সংস্কার করতে কত সময় লাগবে এবং সেই সংস্কারগুলো সরকার ও নির্বাচন কমিশন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, এসব বিবেচনা করেই নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি হওয়া যৌক্তিক,' বলেন তিনি।

আজ শুক্রবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত 'সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, প্রার্থী ও নাগরিকদের ভূমিকা' শীর্ষক ছায়া সংসদে (বিতর্ক) বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন বদিউল আলম মজুমদার।
 
তিনি বলেন, 'গত তিনটি নির্বাচনে যারা নির্বাচনি অপরাধ করেছেন, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। সবচেয়ে বড় অপরাধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।'

তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের পর নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হচ্ছে সরকার। সরকার যদি সহায়তা না করে, তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।'

এ এম এম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নবগঠিত নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, বৃক্ষের পরিচয় তার ফলেই। 'তবে এই ইসির জন্য বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। কারণ, গতবারের মতো এবার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই।' 

ড. মজুমদার বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে অনেক গণমাধ্যম প্রকৃত তথ্য দেয়নি।

তিনি বলেন, 'নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গত তিনটি নির্বাচনে কিছু গণমাধ্যম ইচ্ছাকৃতভাবে সত্য কথা বলেনি। আবার কেউ কেউ সত্য গোপন করতে বাধ্য হয়েছে।'

সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নারী ভোটার ও প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি উল্লেখ করে ড. মজুমদার বলেন, 'সংস্কারের (নির্বাচনি ব্যবস্থায়) জন্য অবশ্যই সময় দিতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

2h ago