সিরিয়ার মতো জর্ডানেও ইসলামপন্থি অভ্যুত্থান হতে পারে: ইসরায়েল

জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ'র সঙ্গে বৈঠকে ইসরায়েলের নেতানিয়াহু ও তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ফাইল ছবি: এএফপি
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ'র সঙ্গে বৈঠকে ইসরায়েলের নেতানিয়াহু ও তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ফাইল ছবি: এএফপি

সিরিয়া বিদ্রোহীদের হাতে বাশার আল আসাদের সরকার পতনে জর্ডানেও উগ্রবাদীরা উৎসাহ পেতে পারে, যা দেশটির রাজা আব্দুল্লাহর শাসনকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল।

আজ রোববার ইসরায়েলি গণমাধ্যম কান নিউজের বরাত দিয়ে জেরুজালেম পোস্ট এই তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী শিন বেটের প্রধান রোনেন বার ও আইডিএফের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান জেনারেল শ্লোমি বাইন্ডার সম্প্রতি জর্ডান সফর করেছেন।

ইসরায়েলি  মন্ত্রিসভায় সম্প্রতি এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল সিরিয়ার সংঘাত জর্ডানে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে উদ্বেগ-আশঙ্কা। জ্যেষ্ঠ্য ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সতর্ক করেন, এ ধরনের ঘটনার ঘটলে তার প্রভাব ইসরায়েলেও পড়বে, কারণ জর্ডানের সঙ্গেই দেশটির সবচেয়ে বড় সীমান্ত।

আরব লিগের কূটনীতিকরাও এই অঞ্চলে গণঅভ্যুত্থানের আগুন ছড়িয়ে পড়া নিয়ে সতর্ক করেছেন।

আগামীকাল সোমবার চলমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে একটি বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।

এ অঞ্চলের এক আরব কূটনীতিক জানিয়েছেন সিরিয়ার পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে মিসর, জর্ডান ও আশেপাশের অন্যান্য দেশ।

সিরিয়ার বিদ্রোহে অন্যান্য দেশের ইসলামপন্থি আন্দোলন বেগবান হতে পারে।

ওই কূটনীতিক বলেন, 'সিরিয়ার বিরোধী পক্ষের মনোভাব এখন পর্যন্ত মধ্যমপন্থি হলেও তা যেকোনো সময়য় উগ্রতার দিকে যেতে পারে।'

বেশিরভাগ আরব দেশ বাশার আল আসাদের শাসনামলের সঙ্গে মানিয়ে চলতে শিখে নিয়েছিল। অনেকেই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিকে আমলেও নিয়ে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল। তবে তা সত্ত্বেও, 'আরব বসন্তের' প্রভাব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি তারা এখনো ভোলেনি।

সিরিয়ার সবচেয়ে বড় বিদ্রোহী দল হায়াত তাহরির আল-শামসের (এইচটিএস) নেতা আবু মোহাম্মদ আল-গোলানি শনিবার সিরিয়ার টিভি অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, 'বছরের পর বছর যুদ্ধ ও সংঘাতে জড়িত থাকার পর সিরিয়া এখন ক্লান্ত। নতুন করে আর কোনো সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus urges young people to engage more in politics

Yunus made the call when a group of young political activists from different political parties of Norway called on him at the state guest house Jamuna today

13m ago