ইবাদতের দারুণ বোলিং ও রাব্বির ব্যাটে জিতল সিলেট

আগের দিন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়েও দলকে জেতাতে পারেননি সিলেট বিভাগের অধিনায়ক মাহফুজুর রাব্বি। তবে এদিন দারুণ দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। তবে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। যার নেতৃত্ব দেন ইবাদত হোসেন ও তোফায়েল আহমেদ। তাতে লক্ষ্যটা ছিল হাতের নাগালেই।

বুধবার সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে বরিশাল বিভাগ ও সিলেট বিভাগের মধ্যকার লো স্কোরিং ম্যাচে অবশ্য লড়াই জমে গিয়েছিল। বরিশালের দেওয়া ১০৯ রানের লক্ষ্য পারি দিতে ৮ উইকেট পড়ে যায় সিলেটের। শেষ পর্যন্ত মাহফুজুর রাব্বির দায়িত্বশীল ইনিংসে জয় পায় দলটি।

রান তাড়ায় তৌফিক খান তুষার ও জিসান আলম ৩৮ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন। এই জুটি ভেঙে ঘুরে দাঁড়ায় বরিশাল। কামরুল ইসলাম রাব্বি ও রুয়েল মিয়ার তোপে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নেয় দলটি। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি তারা।

লক্ষ্য ছোট হওয়ায় শেষ দিকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লেও অধিনায়ক রাব্বি এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৩০ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তৌফিক ২১ ও ওয়াসিফ আকবর ২০ রান করেন। বরিশালের পক্ষে ২৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান কামরুল। ২টি শিকার রুয়েল মিয়ার।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইবাদত হোসেনের তোপে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল। পরে জ্বলে ওঠেন তোফায়েল আহমেদও। ওপেনার ইফতিখার হোসেন ইফতি অবশ্য এক প্রান্ত আগলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান। ৩০ বলে ৪টি চারে ২৬ রান করেন।

শেষ দিকে কামরুল ২৬ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ রান করেন। তাকে ভালো সঙ্গ দিয়ে ১৬ রান করেন সোহাগ গাজী। সিলেটের পক্ষে ১৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন ইবাদত। ১৫ রানের বিনিময়ে তোফায়েলও পান ৩টি উইকেট।

সকালে আরেক ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা বিভাগ। চট্টগ্রামের দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য ৭ বল হাতে রেখেই জয় পায় দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় এক প্রান্তে উইকেট হারালেও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের ব্যাটে চাপ সামলে নেয় তাড়া। এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও জিয়াউর রহমানের ব্যাটে জয় নিশ্চিত হয় তাদের।

সাত নম্বরে নামা জিয়াউর রহমান ৩৬ বলে খেলেন হার না মানা ৩৯ রানের ইনিংস। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ২৫ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩৬ রান করেন আজিজুল। ২৩ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন সোহান।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বির ঝড়ো ব্যাটিংয়েও বড় পুঁজি গড়তে পারেনি চট্টগ্রাম। খুলনার বোলারদের দাপটে ৪৫ রানে চার উইকেট হারালে ইয়াসির প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান। এক প্রান্ত আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত ৬১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৩৯ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। মাহমুদুল হাসান জয় করেন ৩০ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

8h ago