কনস্টাসের দাপুটে অভিষেকের পর অস্ট্রেলিয়াকে টানছেন স্মিথ

steven smith

দিনের শুরুর ভাগটা একদম নিজের করে নিয়েছিলেন ১৯ পেরুনো তরুণ স্যাম কনস্টাস। অস্ট্রেলিয়ার সর্ব কনিষ্ঠ টেস্ট ওপেনার হিসেবে ডাকাবুকো ঘরানায় ব্যাট চালিয়ে ফিফটিতেই রাখেন বড় কিছুর ছাপ। শেষ সেশনে জাসপ্রিট বুমরাহ একাধিক ব্রেকথ্রোতে ঝলক দেখালেও অস্ট্রেলিয়াকে পথে রেখেছেন অভিজ্ঞ স্টিভেন স্মিথ।

মেলবোর্নে বৃহস্পতিবার বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনে কিছুটা এগিয়ে থাকবে স্বাগতিক দল। ঘটনাবহুল দিনে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১১  রান তুলেছে তারা। ৬৮ রানে   অপরাজিত আছেন স্মিথ, ৮ রান করে তার সঙ্গী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

টস জিতে ব্যাটিং বেছে সিরিজে দলের সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী জুটি গড়েন কনস্টাস-উসমান খাওয়াজা। ছন্দ ফিরে পেয়ে খাওয়াজা ছিলেন স্থিতধি , উত্তাল ছিল কনস্টাসের ব্যাট।

অল্প বয়েসী এই ব্যাটার অনেক আলোচনার জন্ম দিনেই পা রাখেন টেস্টে। তিনি যে রোমাঞ্চকর কেউ একজন তা প্রমাণে দেরি করেননি। টেস্টে এই সময়ের শীর্ষ বোলার বুমরাহকে স্কুপ, সুইচ হিটে তাক লাগানো সব শট খেলে ফেলেন।

তার সাহস দেখে ভড়কে যায় প্রতিপক্ষ, মেজাজ হারান মোহাম্মদ সিরাজ। এমনকি অভিজ্ঞ বিরাট কোহলি কাঁধে ধাক্কা লাগান কনস্টাসের সঙ্গে। ৮৯ রানের ওপেনিং জুটিতে ৬০ রানই করেন কনস্টাস। মাত্র ৬৫ বলের ইনিংসে ডানহাতি ব্যাটার মারেন ৬ চার, ২ ছক্কা। তাকে থামিয়ে প্রথম উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা।

দ্বিতীয় উইকেটে মারনাশ লাবুশানেকে নিয়ে আবার ৬৫ রানের জুটি পেয়ে যান খাওয়াজা। বুমরাহ এসে থামান ৫৭ করা খাওয়াজাকে। এরপর ৮৪ রানের জুটি আসে স্মিথ-লাবুশানের ব্যাটিংয়ে।

শেষ সেশনে ৭২ করা লাবুশানেকে ওয়াশিংটন সুন্দর ফিরিয়ে দেওয়ার পর দ্রুত ট্রেভিস হেড ও মিচেল মার্শকে তুলে নেন বুমরাহ। এরমধ্যে হেড বোল্ড হন বুমরাহর দারুণ ভেতরে ঢোকা এক ডেলিভারি ছেড়ে দিয়ে। ভারত তখন লড়াইয়ের ফেরার আভাস তৈরি করে।

দিনের বাকিটা সময় দলকে আর কোন বিপর্যয়ে পড়তে না দেওয়ার মতন করেই খেলছিলেন স্মিথ। আলেক্স কেয়ারির সঙ্গে আরেক জুটি পান তিনি। তবে ৫৩ রানের জুটি থামে একদম শেষ বেলায়। আকাশ দীপ এসে কেয়ারিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান। স্মিথকে আর নড়ানো যায়নি। নির্ভরতা দিয়ে দেখেশুনে তিনি পার করেন শেষ বিকেলের কঠিন কিছু সময়।

Comments

The Daily Star  | English

Essential commodities: Price spiral hits fixed-income families hard

Supply chain experts and consumer rights activists blame the absence of consistent market monitoring, dwindling supply of winter vegetables, and the end of VAT exemptions granted during Ramadan.

13h ago