বাদাম চাষি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, জিমি কার্টারের জীবনাবসান

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী জিমি কার্টার মারা গেছেন। নিজের জন্মস্থান জর্জিয়ার প্লেইনসে নিজের বাড়িতেই তার দেহাবসান হয়। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্টের ১০০ বছরের বর্ণিল জীবনের সমাপ্তি হলো।

জিমি কার্টারের জন্ম ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর। তার বাবা জেমস আর্ল কার্টার ছিলেন একজন বাদাম চাষি ও ব্যবসায়ী, যেই ফার্মের হাল ধরেই পরে জিমি কার্টার রাজনীতিতে আসেন ও পরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

১৯৪৩ সালে ১৯ বছর বয়সে জিমি কার্টার নেভাল অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন। সেখানে থেকে পাস করে একজন সাবমেরিনার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ডুবোজাহাজে কাজ করে বাবার বাদামের ফার্মের কাজে ফিরে আসেন। এই কাজ করতে করতেই রাজনীতিতে নাম লেখান তিনি ও ১৯৬২ সালে রাজ্যের সিনেট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে জর্জিয়ার গভর্নর হিসেবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিলেও সেবার ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হন। এর মধ্যেই বাদাম ব্যবসায় বেশ নাম করেন তিনি।

জর্জিয়ায় নিজের বাদামের ফার্মে জিমি কার্টার

অবশেষে ১৯৭০ সালে দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হন জিমি কার্টার। এর দুই বছরের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সামিল হন তিনি। তবে সেবার দলের ভেতরে ভোটে হেরে যাওয়ায় আর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেননি। তার ভাগ্য খোলে ১৯৭৬ সালের নির্বাচনে তার ভাগ্য খুলে যায়।

ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মধ্যস্থতা করেন জিমি কার্টার

ওই বছরের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন জিমি কার্টার। বিশ্বজুড়ে সংঘাতের অবসানে অক্লান্ত প্রচেষ্টা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করায় ২০০২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মধ্যস্থতাকারী ছিলেন জিমি কার্টার।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

7h ago