'যুদ্ধে নামলে গুলি খেতে হয়', ইনজুরি প্রসঙ্গে নাহিদ

চোটের কারণে বাংলাদেশ দল থেকে হারিয়ে গেছেন অনেক গতিময় প্রতিভাবান পেসারই। তালহা জুবায়ের তাদের মধ্যে অন্যতম নাম। চোট না থাকলেও ক্যারিয়ারটা আরও অনেক সমৃদ্ধ হতে পারতো মাশরাফি বিন মুর্তজার। ইবাদত হোসেন তো এই কারণে অনেক দিন থেকেই বাইরে। তাই বর্তমান সময়ের অন্যতম গতি তারকা নাহিদ রানাকে নিয়েও একই শঙ্কা। কিন্তু এসবের পরোয়া করেন না এই তরুণ।

চলতি আসরে বেশ দারুণ বোলিং করছেন নাহিদ। মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ধসিয়ে দেওয়ার অন্যতম নায়ক তিনি। তিন ওভার বল করে ২১ রানের খরচায় পেয়েছেন ৩ উইকেট। পাঁচ ম্যাচে উইকেট সংখ্যা নয়। এমন পেসারকে স্বাভাবিকভাবেই হারাতে চায় না বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই উঠে এলো ইনজুরির প্রসঙ্গ। তবে এসব নিয়ে যেন কিছুটা নির্ভারই নাহিদ, 'প্রথমে যেটা বললেন যে, ইনজুরি। ধরেন, মানুষ যুদ্ধে নামলে গুলি খাইতে হয়। ক্রিকেট খেলতে আসলে ইনজুরিতে পড়বো। আর যেটা মেইনটেইনের কথা বলছিলেন, ফিটনেস, এগুলো সব নিজে মেইনটেইন করছি। আর বিসিবি যেসব শিডিউল দিয়েছে, ওগুলো মেনে কাজ করার চেষ্টা করছি। সামনে যা হবে আলহামদুলিল্লাহ।'

সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলে প্রায় নিয়মিতই নাহিদ। গতি তারকার তকমায় এবার বিপিএলেও তাকে নিয়ে রয়েছে তুমুল আগ্রহ। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে হয় টানা ম্যাচে। নাহিদও গত সপ্তাহে খেলেছেন পাঁচটি ম্যাচ। এই ঠাঁসা সূচির চাপ নিয়ন্ত্রণে বিসিবির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন নাহিদ, 'আমাদের জাতীয় দলের বায়েজীদ ভাই ফিজিও আছে; উনার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। আমাদের রংপুর দলে সজীব ভাই আছে, উনার সঙ্গে কথা হয়। তো জাতীয় দলের ফিজিওর সঙ্গে অবশ্যই কথা হয়।'

উঠে আসে মাশরাফির প্রসঙ্গও। নাহিদের উত্তর, 'দেখেন, আমি শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তো তারপরে বিরতি পেয়েছি, খেলি নাই। বিসিবির একটা ছিল যে, তোমাকে মেইনটেইন করবো এবং পরিকল্পনা দিয়েছে যে তুমি এভাবে ফিটনেস মেইনটেইন করবা এবং ম্যাচ খেলবা। এখন পর্যন্ত বিসিবি বলছে যে আমার বোলিং ঠিক আছে এবং ফিল করতেছি যে শরীর ঠিক আছে। এমনভাবে কিছু আসে নাই বিসিবি থেকে।'

একই সঙ্গে তারকা খ্যাতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখেন বলে জানান এই তরুণ পেসার, 'আসলে এই জিনিসগুলো থেকে আমি যত পারি দূরে থাকার চেষ্টা করি। তবে মানুষ মানুষের প্রশংসা করলে শুনতে ভালো লাগে- আমি চেষ্টা করি, যত পারি এগুলো থেকে দূরে থাকার। কারণ- নিজের ভেতরে যত স্যাটিসফাই কম আসবে তত আমি সামনে এবং আমার ভেতরে হাঙরিনেসটা থাকবে পারফর্ম করার। তাই চেষ্টা করি দূরে থাকার।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid morning in 6 pictures

The morning of Eid-ul-Azha follows old, well maintained patterns

1h ago