মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় সেই ছাত্রনেতা অভি খালাস

তিন্নি

মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় সাবেক ছাত্রনেতা ও জাতীয় পার্টির (জেপি) সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। অভির অনুপস্থিতিতে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহিনুর আখতার এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বিচারক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ মামলার একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই, আসামি অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন।

আজ রায় ঘোষণার সময় ভিকটিমের পরিবারের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বিচার চলাকালে, তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে জবানবন্দি দেন এবং আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এর আগে, রাষ্ট্রপক্ষ ও সরকারিভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবী তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করেন এবং আদালত মামলার বাদীসহ ২৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর, বুড়িগঙ্গা নদীর চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর নিচ থেকে তিন্নির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিনে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

ঘটনার পর, ওই থানার উপপরিদর্শক শফিউদ্দিন ভিন্ন ভিন্ন তারিখে তিন্নির প্রাক্তন স্বামী শাফকাত আহমেদ পিয়াল, স্বপন গাজী, গাজী শরিফুল্লাহ তপন, শফিকুল ইসলাম জুয়েল এবং সোমনাথ সাহা বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করেন।

কিন্তু পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর অভির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পিয়াল ও অন্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বিয়ের সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে তিনি অনড় অবস্থান নেওয়ায় অভি তাকে হত্যা করেন।

আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্র থেকে আরও জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পরপরই অভি জামিন পান এবং ১৯৯২ সালের বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে কানাডায় চলে যান। ওই অস্ত্র মামলায় তাকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

অভিযোগপত্র দাখিলের পর, আদালত বিভিন্ন তারিখে অভিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু অভি আদালতে হাজির হননি।

Comments

The Daily Star  | English

Govt warns of tough action against protesting NBR officials

The strike crippled activities at customs and ports, affecting exports, imports, and businesses.

2h ago