বিপিএল

ক্লার্কের সেঞ্চুরিতে জিতল চিটাগং, রেকর্ড ছুঁল এবারের বিপিএল

ছবি: রাজিব রায়হান

চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে উত্তাল ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করলেন গ্রাহাম ক্লার্ক। চিটাগং কিংসের ইংলিশ ব্যাটারের তাণ্ডবে বিপিএলের এবারের আসর স্পর্শ করল একটি রেকর্ড। চলমান মৌসুমে এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, যা দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার এক মৌসুমে সর্বোচ্চ। এর আগে ছয়টি সেঞ্চুরি দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালের মৌসুমে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২০০ রানের বড় পুঁজি পায় চিটাগং। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তাদের হয়ে তিনে নেমে ১০১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন ক্লার্ক। ২৮ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর ৪৮ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান তিনি। সালমান ইরশাদের বলে মোহাম্মদ নাওয়াজের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৫০ বলে সাতটি চার ও ছয়টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এছাড়া, ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন করেন ২৯ বলে ৩৯ রান।

প্রথমবারের মতো বিপিএলে খেলতে আসা ক্লার্কের চিটাগংয়ের জার্সিতে এটি প্রথম সেঞ্চুরি। আর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে ৬০ গড় ও ১৭১.৪২ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছেন ২৪০ রান। আগের ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৩৩ বলে ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।

২০২৫ বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি আসে চিটাগংয়ে ক্লার্কের সতীর্থ পাকিস্তানি ব্যাটার উসমান খানের ব্যাট থেকে। এরপর ঢাকা ক্যাপিটালসের লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা খেলেন তিন অঙ্কের ইনিংস। তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন রংপুর রাইডার্সের ইংলিশ ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস। তারপর এক ম্যাচেই জোড়া শতরানের দেখা মেলে ঢাকার দুই ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের ব্যাটে। প্রথম দুটি সেঞ্চুরি ছিল ঢাকা পর্বে, পরের তিনটি সিলেট পর্বে।

২০১৯ সালের আসরেও রংপুরের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন হেলস। একই ম্যাচে একই দলের দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার রাইলি রুশো তিন অঙ্কের স্বাদ নিয়েছিলেন। রংপুরের আরেক প্রোটিয়া তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্সও হাঁকিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। ওই মৌসুমের প্রথম শতরান এসেছিল রাজশাহী কিংসের ইংলিশ ব্যাটার লরি ইভান্সের ব্যাট থেকে। সেবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্যারিবিয়ান ব্যাটার এভিন লুইস পেয়েছিলেন শতক। একই দলের তামিম ইকবাল সেঞ্চুরি করেছিলেন ফাইনালে।

ক্লার্কের সেঞ্চুরির পর আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৪৫ রানের বড় ব্যবধানে অনায়াসে জিতেছে চিটাগং। কঠিন লক্ষ্য তাড়ায় সেই অর্থে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করতে পারেনি খুলনা। তাদের ছয় ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছালেও প্রত্যেকে ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন। ফলে দলটি পুরো ২০ ওভার খেলে থামে ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে। চিটাগংয়ের পক্ষে স্পিনার আরাফাত সানি ৪ ওভারে ২৫ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।

পাঁচ ম্যাচে টানা চতুর্থ জয়ে চিটাগংয়ের অর্জন ৮ পয়েন্ট। তারা ফরচুন বরিশালকে টপকে উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। অন্যদিকে, ছয় ম্যাচে টানা চতুর্থ হারের তেতো অভিজ্ঞতা পাওয়া খুলনার পয়েন্ট ৪। তারা রয়েছে সাত দলের আসরের চার নম্বরে।

Comments

The Daily Star  | English
EU lists Bangladesh as safe country for asylum rules

EU lists Bangladesh among 7 'safe' countries, tightening asylum rules

The move, criticised by rights groups, is set to allow EU governments to process asylum applications filed from citizens of those countries more quickly

11h ago