‘হামজা আরও তিন-চারটা থাকলে দেশের জন্য ভালো না!’

হামজা চৌধুরীর মানের আরও তিন-চারজন খেলোয়াড় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে থাকলে কেমন হতো? তার মতো ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে খেলা বেশ কিছু ফুটবলার থাকলে নিশ্চয়ই দারুণ ব্যাপার হতো। দেশের ফুটবল ভক্ত-সমর্থকদের মুখে এমন রোমাঞ্চের কথা শোনা যায় প্রায়শই। এবার বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কণ্ঠেও মিলল একই সাধের সুর।

জন্মস্থান ডেনমার্ক থেকে ফিরে কোচিং কোর্স শুরু করেছেন ৩৪ বছর বয়সী মিডফিল্ডার জামাল। শনিবার চালু হয়েছে বাফুফে-এএফসি 'এ' ডিপ্লোমা কোর্স। সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং প্রশিক্ষক মিলিয়ে এবার মোট ২৪ জন অংশ নিচ্ছেন।

নতুন দিগন্তে পা বাড়ানোর দিনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজাকে নিয়ে তীব্র উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জামাল। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের আদলে গণমাধ্যমের কাছে তিনি বলেছেন, 'হামজার খেলা দেশের জন্য অনেক বড় বিষয়। কেননা, উনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন। তো হামজা আরও তিন-চারটা থাকলে দেশের জন্য ভালো না! হামজা এলে এটা সবার জন্য ভালো।'

গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার জন্য ফিফার অনুমোদন পেয়েছেন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া হামজা। তিনি ২০০৫ সালে লেস্টারে যোগ দেন। বয়সভিত্তিক ধাপ পার করে ২০১৫ সাল থেকে ক্লাবটির মূল দলে খেলছেন তিনি। চূড়ান্ত অনুমতি পাওয়ায় ২৭ বছর বয়সী হামজার বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর কোনো বাধা নেই। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের মার্চে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে লাল-সবুজ জার্সিতে তার অভিষেক হবে।

চুক্তি বিষয়ক নানা গ্যাঁড়াকলে পড়ে চলতি মৌসুমে এখনও বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলতে পারেননি জামাল। ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জটিলতার ফলে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি করেও মাঠে নামতে পারছেন না তিনি।

জামাল আশা করছেন, শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, '(লিগের দ্বিতীয় ভাগে কোন দলের হয়ে খেলব) আগামী ১০ দিনের ভেতরে আমি এটা নিশ্চিত করব। আবাহনীর সঙ্গে যে ইস্যুটা হয়েছে, সেটা হয়ে গেছে। আমি কিছু করতে পারব না। এটা আমার সিদ্ধান্ত না, ওদের সিদ্ধান্ত ছিল। এতদিন আমি ডেনমার্কে ছিলাম। ওখানে একটি স্থানীয় ক্লাবের সঙ্গে অনুশীলন করেছি, খেলেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago