১৩ ছক্কায় ১৩৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে অভিষেকের দুই রেকর্ড

ছবি: বিসিসিআই

আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুটি দেশের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড যৌথভাবে দুজনের দখলে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার সেঞ্চুরি করেছিলেন ৩৫ বলে। দুই মাসের মধ্যে সেই কীর্তিতে ভারতের রোহিত শর্মা ভাগ বসিয়েছিলেন ইন্দোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সমান সংখ্যক বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে।

সেই রেকর্ড ভাঙার আশা জাগিয়েছিলেন ভারতের তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার অভিষেক শর্মা। রোববার মুম্বাইতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে এক পর্যায়ে তার সংগ্রহ ছিল ৩২ বলে ৯৪ রান। কিন্তু শঙ্কায় পড়লেও মিলার ও রোহিতের কীর্তি টিকে রইল। ২৪ বছর বয়সী অভিষেক ১৭ বলে ফিফটি স্পর্শের পর সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৩৭ বলে। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুটি দেশের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যা কোনো ব্যাটারের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির নজির।

ইংলিশ বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে বিস্ফোরক ইনিংস খেলে দুটি রেকর্ড অবশ্য ঠিকই করলেন অভিষেক। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ও এক ইনিংসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছক্কা মারার কীর্তি এখন তার। ওপেনিংয়ে নেমে ১৮ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকা অভিষেক করেন ১৩৫ রান। মাত্র ৫৪ বল মোকাবিলায় সাতটি চারের সঙ্গে ১৩টি ছক্কা মারেন তিনি।

টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের আগের কীর্তিটি ছিল শুবমান গিলের। তিনি ২০২৩ সালে আহমেদাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৩ বলে অপরাজিত ১২৬ ইনিংস খেলেছিলেন।

ইন্দোরে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করার পথে রোহিত মেরেছিলেন ১০টি ছক্কা। এরপর গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাত দিনের ব্যবধানে ডারবানে সঞ্জু স্যামসন ও জোহানেসবার্গে তিলক ভার্মা সমান সংখ্যক ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এই তিনজনকে দুইয়ে নামিয়ে দিয়ে শীর্ষে উঠে গেলেন অভিষেক।

অভিষেকের স্মরণীয় ইনিংসে চেপে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে পেয়েছে ৯ উইকেটে ২৪৭ রানের বিশাল পুঁজি। এছাড়া, শিবাম দুবে ১৩ বলে ৩০ ও তিলক ১৫ বলে ২৪ রান করেন। অভিষেক ও তিলকের বিধ্বংসী দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৪৩ বলে ১১৫ রান। সেখানে অভিষেকের একারই অবদান ২৮ বলে ৮৯ রান।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago