বিপিএল

হোল্ডারের ‘দুই ডেলিভারিকে’ হারের দায় দিলেন মিরাজ

শেষ ওভারে জেতার জন্য চিটাগাং কিংসের দরকার ছিলো ১৫ রান। ক্রিজে দুই টেল এন্ডার। ওভার বাকি মুশফিক হাসান ও জেসন হোল্ডারের। স্বাভাবিকভাবেই অভিজ্ঞ হোল্ডারকে বেছে নিতেন যেকেউ, মেহেদী হাসান মিরাজ হাঁটলেন উল্টো পথে। বল দিনে মুশফিককে, ১৫ রান সামলাতে পারলেন না এই পেসার। শেষ বলে হারের পর হোল্ডারকে বল না দেওয়া প্রসঙ্গে হোল্ডারেরই দুটি ডেলিভারির কারণ জানালেন মিরাজ।

বুধবার রাতে মিরপুরে বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার হয়েছে টানটান উত্তেজনার। তাতে ২ উইকেটে জিতে ফাইনালে উঠেছে চিটাগাং কিংস।

মুঠোয় থাকা ম্যাচ খুলনা যেভাবে হেরেছে, তাতে বড় প্রশ্ন হয়ে এসেছে শেষ ওভার মুশফিককে করতে দেওয়া। এই ব্যাপারে জানতে চাইলে মিরাজ উল্টো হোল্ডারকেই দায় দেন,  'পরিকল্পনা যেটা ছিল… হোল্ডার আগের ওভারে যে বোলিংটা করেছে, ১৪ বলে ওদের রান লাগত ৩২ (আসলে ১৮ বলে ৩৪), ওখানে সে একটা ছক্কা ও একটা চার খেয়ে গিয়েছে। ওখানেই আমাদের ম্যাচ অনেকটা ছুটে গিয়েছে। এরকম একজন অভিজ্ঞ বোলারকে এমন মুহূর্তে এসে যদি বোলাররা ছক্কা-চার মেরে দেয়, তাহলে তো আমাদের দলের জন্য কাজটা কঠিন।'

১৮তম ওভার করতে এসে আলিস আল ইসলামের হাতে ছক্কা-চার হজম করে ১২ রান দেন হোল্ডার। হাসান মাহমুদ পরের ওভারে ৬ রান দেওয়ার পর শেষ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ম্যাচ হারান মুশফিক।

হোল্ডার ১৮তম ওভারে খরুচে হওয়ায় মিরাজ ভরসা পাচ্ছিলেন না বলে জানান, 'এরপর হাসান বেশি ভালো বোলিং করেছে বলে শেষ ওভারে ১৫ রানে গিয়েছে। ওখানে যদি মুশফিককে করাতাম (১৯তম ওভারে), যদি ১২-১৩ রান দিয়ে দিত, তাহলে শেষ ওভারে একই রকম রান লাগত। এজন্য আমি ভরসা পাচ্ছিলাম না (হোল্ডারের ওপর)। কারণ, ওই দুটি বল যেভাবে করেছে, যেখানে করেছে…।'

'হোল্ডার যদি ওই দুটি বল ভালো করত, তাহলে পরের ওভার আমি হাসানকে করাতাম না। ওই ছয় ও চার যখন হয়ে গিয়েছে, তখন ১৩ বলে লাগে ২২ রান। তখন আমি কি করব? আমার সেরা বোলারকেই তো করাব! যদি রান লাগত ৩০-২৮, তাহলে ওই ওভার মুশফিককে দিতাম। বেশি হলে সে ১৫ রান দিত। তখন শেষ ওভার হাসানকে দিতাম, ও এসে ১৫ রান ডিফেন্ড করত। কিন্তু দুই ওভারে যখন ২১ লাগে, তখন আমার আর বিকল্প ছিল না (হাসানকে দেওয়া ছাড়া)।'

'মুশফিক তো আগের দুটি ওভার খুব ভালো করেছে। ওদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানের উইকেটও নিয়েছে। ওইভাবে চিন্তা করে শেষ ওভারটি দিয়েছিলাম (মুশফিককে)।'

মিরাজ বলছেন হোল্ডারের দুই বলেই ম্যাচ অর্ধেক শেষ, অথচ শেষ ওভারেও কিংসের দরকার ছিল ১৫ রান, ক্রিজে দুই টেল এন্ডার থাকায় ম্যাচটা হেলে ছিলো খুলনার দিকেই।

Comments

The Daily Star  | English

CEC urges officials to ensure neutrality as polls preparations advance

The CEC reiterates that the commission is advancing steadily with election preparations

11m ago