এক জুটিতে হৃদয়-জাকেরের তিন রেকর্ড

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই বাংলাদেশি দর্শকদের মনে বাড়তি উত্তেজনা। ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়া সব আগ্রহে জল ঢেলে দিয়েছিল। উদ্ধারকাজে নেমে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১৫৪ রান এনেছেন তাওহিদ হৃদয় এবং জাকের আলি অনিক। সেটি স্বস্তি এনে দিয়েছে কিছুটা। সঙ্গে কয়েকটি রেকর্ডের মালিক বনে গেছেন বাংলাদেশি ব্যাটার দুজন।
বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হৃদয় ও জাকেরের ১৫৪ রানের জুটি টিকেছে ৩৪.১ ওভার। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে এর আগে বাংলাদেশ এত রান পায়নি কখনোই। এই উইকেটে আগের সর্বোচ্চ জুটিতেও অংশ ছিলেন জাকের। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ১৫০ রানের জুটি বেধেছিলেন তিনি।
ভারতের বিপক্ষে চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে শূন্য রানেই জীবন পান জাকের। নবম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১১৪ বলে করেছেন ৬৮ রান। ৪৩তম ওভারে তিনি মোহাম্মদ শামির বলে আউট হলে ভেঙে যায় ১৫৪ রানের জুটি। যেকোন উইকেটে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড এটি। এর আগে ওয়ানডে সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে কোন জুটি থেকে সবচেয়ে বেশি ১৪৮ রান পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে সে জুটির অংশীদার ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও রেকর্ড গড়েছে জাকের-হৃদয় জুটি। আইসিসির এই টুর্নামেন্টটিতে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে প্রথমবার দেড়শর বেশি রান এসেছে। এর আগে ৫ উইকেট হারিয়ে পরবর্তী জুটিতে সর্বোচ্চ ১৩১ রান এসেছিল। ২০০৬ সালে মোহালিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও জাস্টিন কেম্প মিলে তা করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে।
হৃদয় এবং জাকের দুজনেই অবশ্য পার্টনারশিপটিতে ভারতের ফিল্ডারদের সহায়তা পেয়েছেন। রানের খাতা খোলার আগে একবার, আরেকবার ২৪ রানে জীবন পেয়েছেন জাকের। রবীন্দ্র জাদেজার বলে স্টাম্পিং মিস করেন লোকেশ রাহুল। ২৩ রানে দ্বিতীয় সুযোগ পান হৃদয়। কুলদীপ যাদবের বলে মিডঅফে থাকা হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন এই ডানহাতি। শেষমেশ হৃদয় ১১৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রান করে থেমেছেন।
এই দুজনের বীরত্বে ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ার পরও ২২৮ রান করেছে বাংলাদেশ।
Comments