এন্দ্রিকের গোলে সোসিয়েদাদকে হারিয়ে সেমির পথে রিয়াল

কোপা দেল রে'র সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এগিয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। এন্দ্রিকের একমাত্র গোলে রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে কোপা ফাইনালের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে দলটি। যদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি ম্যাচ এখনো বাকি। তবে রিয়ালের ঘরের মাঠ থেকে জয় তুলে আনা খুব কঠিন কাজই সোসিয়েদাদের জন্য।

তবে স্বস্তির জয়েও কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়ে রিয়াল। তাদের জন্য দুঃসংবাদ ছিল দ্যানিয়েল সেবায়োসের চোট, যিনি ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। তার বিদায়ের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে চোট গুরুতর হতে পারে।

কাপের ম্যাচে আনচেলোত্তির কাছ থেকে এই ম্যাচে কিছু রদবদলের আশা করা হয়েছিল, তবে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। থিবো কুর্তোয়া, কিলিয়ান এমবাপে ও ফেদে ভালভার্দে থাকায় ইতালিয়ান কোচ ডানদিকে আসেনসিওকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন। সুযোগের অপেক্ষায় থাকা আরদা গুলের ও এন্দ্রিককে একাদশে রাখেন। অন্যদিকে, সোসিয়েদাদের কোচ ইমানোল তার একাদশে সুরিচকে রেখে চমক দেন।

ভরা গ্যালারিতে নিজেদের মাঠ আনোয়েতায় দারুণ শুরু করে বাস্ক দলটি। হাই প্রেসিং করে রিয়াল মাদ্রিদের খেলায় বাধা সৃষ্টি করে। এই সময় কামাভিঙ্গা একাধিকবার বল হারান, এবং মাদ্রিদকে বেশ চাপে ফেলে দেয় সোসিয়েদাদ। তবে পাল্টা আক্রমণের অপেক্ষায় থাকা রিয়াল প্রথম সুযোগেই গোল আদায় করে নেয়।

১৯তম মিনিটে জুড বেলিংহ্যাম লম্বা পাস দেন এন্দ্রিকের উদ্দেশ্যে, যিনি নিখুঁত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিজেকে গোলরক্ষক রেমিরোর সামনে এনে বাঁ পায়ের বাইরের পাশ দিয়ে দুর্দান্ত শটে বল জালে পাঠান।

সোসিয়েদাদ সুযোগ নষ্টের খেসারত দেয় এবং রিয়াল মাদ্রিদ তাদের রক্ষণভাগের ভুলের সুযোগ নিয়ে ০-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ম্যাচের দৃশ্যপট যদিও একই ছিল—সোসিয়েদাদই খেলার নিয়ন্ত্রণে ছিল—তবে গোল পেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। বাস্ক দলটি বুঝতে পারে, আরেকটি রক্ষণাত্মক ভুল তাদের ফাইনাল থেকে আরও দূরে সরিয়ে দিতে পারে। ফলে রক্ষণে জোর দেয় দলটি।

ম্যাচের এক পর্যায়ে রেফারি সানচেজ মার্তিনেজ খেলা থামিয়ে বর্ণবাদবিরোধী প্রটোকল কার্যকর করেন। স্টেডিয়ামের স্পিকারে ঘোষণা দেওয়া হয় যাতে বর্ণবাদী, জাতিগত বিদ্বেষমূলক ও অসহিষ্ণুতামূলক স্লোগান বন্ধ হয়। এই স্লোগানগুলোর লক্ষ্য ছিলেন আসেনসিও ও ভিনিসিয়ুস। ভিনিসিয়ুস রেফারির কাছে অভিযোগ জানান, বিশেষ করে "আসেনসিও, মরে যাও" জাতীয় স্লোগানের বিষয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আনচেলোত্তি আসেনসিওকে তুলে নিয়ে ডানদিকে লুকাসকে নামান, রক্ষণ সামলানোর জন্য। তবে দ্বিতীয়ার্ধের সবচেয়ে বড় ঘটনা ছিল সোসিয়েদাদের টানা দুটি আক্রমণ ও এন্দ্রিকের একটি শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসা। তবে এ অর্ধে আর গোল না হলে এন্দ্রিকের দেওয়া শুরুর গোলই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus joins stakeholders’ dialogue on Rohingya crisis in Cox’s Bazar

The three-day conference began with the aim of engaging global stakeholders to find solutions to the prolonged Rohingya crisis

45m ago