পাকিস্তানের ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে চমকপ্রদ উপায় দিলেন হাফিজ

২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। এরপর বৈশ্বিক আসরে আর কোনো সাফল্য পাচ্ছে না তারা। বরং টানা ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি হয়ে আছে দলটি। সমস্যা সমধানে চমকপ্রদ একটি সমাধান বলে দিলেন মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারের মতে, বোর্ড চেয়ারম্যানের পদে বিদেশি কাউকে বসানো উচিত।
এই নিয়ে আইসিসি আয়োজিত টানা তিনটি ওয়ানডে টুর্নামেন্টে পাকিস্তান বিদায় নিয়েছে প্রথম পর্ব থেকে। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে হওয়া বিশ্বকাপে তারা লিগ পর্বের পয়েন্ট তালিকায় ছিল পঞ্চম স্থানে। এরপর ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপও তারা শেষ করেছিল একই অবস্থানে থেকে। এবার ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভরাডুবি হয়েছে তাদের। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে খেলে পাকিস্তান পেয়েছে স্রেফ ১ পয়েন্ট। নিউজিল্যান্ড ও ভারতের কাছে প্রথম দুটি ম্যাচে হেরে যায় তারা। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণের বৈশ্বিক আসরেও আশাব্যঞ্জক হওয়ার উপাদান কম পাকিস্তানের। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপে তারা খেলেছিল সেমিফাইনালে। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে তারা হয়েছিল রানার্সআপ। তবে গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া সবশেষ বিশ্বকাপে তারা পার হতে পারেনি গ্রুপ পর্বও।
প্রতিবার ব্যর্থতার পর বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয় পাকিস্তানের কোচিং প্যানেলে। প্রায়ই বিদেশি কোচ ও পরামর্শকের দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। খেলোয়াড়দেরও পড়তে হয় তীব্র সমালোচনার মুখে। তবে সাধারণত বহাল তবিয়তে থেকে যান পিসিবি চেয়ারম্যান। বারবার নানা অদল-বদলে বিরক্ত হাফিজ সেখানেও পরিবর্তন আনার কথা বলেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচ হয় পরিত্যক্ত। এরপর পিটিভি স্পোর্টসের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ব্যঙ্গ করে সাবেক অলরাউন্ডার হাফিজ বলেছেন, 'দেখুন, সমস্যার সমাধানে আমরা ম্যানেজমেন্টের কথা বললাম, ক্রিকেটারদের কথা বললাম। আমরা প্রায়ই বিদেশি কোচের কথাও বলি। আমাদের মনে হয়, তারা সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করে। তাহলে আমরা বিদেশি চেয়ারম্যান কেন আনছি না!'
হাফিজ মূলত সাম্প্রতিক প্রতিটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার পর বিদেশি কোচ আনা নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন পিসিবিকে। সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি দায়িত্ব নেন। তারপর দুই সপ্তাহের মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান হাফিজ।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের প্রধান কোচের ভূমিকায় আছেন আকিব জাভেদ। এই আসর দিয়ে শেষ হচ্ছে তার সঙ্গে পিসিবির চুক্তির মেয়াদ। সেটা নবায়ন করার সম্ভাবনা ভীষণ ক্ষীণ। সব মিলিয়ে ২০১৯ সালে মিসবাহ-উল-হক থেকে শুরু করে পূর্ণাঙ্গ বা অন্তর্বর্তী মেয়াদে এখন পর্যন্ত ৯ জন প্রধান কোচ পাল্টেছে পাকিস্তান।
Comments