পেদ্রির এমভিপি ট্রফির 'অর্ধেক চান' শেজনি

দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বার্সেলোনাকে দারুণ এক জয় এনে এমভিপি ট্রফি (সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার) জিতেছেন পেদ্রি। তবে এই ম্যাচে বার্সার জয় অন্যতম নায়ক বয়েচেক শেজনিও। তার অবিশ্বাস্য সব সেভে গোল হজম করেনি কাতালানরা। তাই ম্যাচ শেষ মজা করেই বললেন, পেদ্রির এমভিপি ট্রফির অর্ধেক আমারও পাওয়া উচিত।

বেনফিকার মাঠে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচটি এক অর্থে বার্সার জার্সিতে সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন শেজনি। তবে ম্যাচ শেষে মুভিস্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, 'আমার সেরা ম্যাচ এখনও বাকি।' এরপরই মজার ছলে পেদ্রির প্রতি একটি মন্তব্য করেন— 'সে এমভিপি ট্রফি জিতেছে, কিন্তু আমারও অর্ধেক পাওয়া উচিত।'

এদিন ম্যাচের ২০ সেকেন্ডের মাথায় এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিকরা। আক্তুরকোগলুর ক্রস শট দুর্দান্তভাবে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে নিশ্চিত একটি গোল বাঁচান শেজনি। তখনই জানান দেন যে, দিনটি তার হতে চলেছে। সেই সেভ নিয়ে বলেন, 'আমি ওই সেভটা খুব ভালো হয়েছে, কারণ জানুয়ারির ম্যাচের পর আমাদের কম গোল খাওয়াটা জরুরি ছিল। এটা সত্যিই ভালো মুহূর্ত ছিল।'

পরে কুবারসি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর, বারেইরোর আরেকটি শটও দক্ষতার সঙ্গে প্রতিহত করেন শেজনি, যদিও সেটি অফসাইড ছিল। কোকসুর নেওয়া ফ্রি কিক দারুণভাবে ঠেকান এবং বিরতির ঠিক আগে, অবিশ্বাস্য প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আক্তুরকোগলুর একেবারে কাছের দূরত্বের হেডও প্রতিহত করেন।

বিরতির পরও, দক্ষতা দেখিয়ে যান। বিশেষ করে, ম্যাচ শেষের দিকে বক্সের সীমানা থেকে রেনাতোর নেওয়া জোরালো শট ঠেকানো ছিল এক অনন্য মুহূর্ত। বেনফিকার হতাশা তখন চরমে পৌঁছে যায়। মোট ৭টি দুর্দান্ত সেভ যা ম্যাচের চিত্র বদলে দেয়। আতশবাজির আলো, রকেটের শব্দ কিংবা ধোঁয়ার আস্তরণ— কোনো কিছুই বিভ্রান্ত করতে পারেনি তাকে।

পোলিশ এই গোলকিপার আরও বলেন, 'ম্যাচটা আমাদের পেশাদারভাবে শেষ করা প্রয়োজন ছিল যেন ভালো ফল নিশ্চিত করা যায়। কুবারসি লাল কার্ড দেখার পর এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমরা জানতাম কী করতে হবে। আমরা খেলা প্রশস্ত করতে পারতাম না, আমাদের একসঙ্গে থাকতে হয়েছে, কমপ্যাক্ট থাকতে হয়েছে, তাদের ট্রানজিশনগুলো কমাতে হয়েছে।'

এই জয় বার্সেলোনার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিবে বলে মনে করেন এই পোলিশ গোলরক্ষক, 'এটা দলের জন্য ভালো ম্যাচ ছিল, আমরা চরিত্র দেখিয়েছি এবং প্রমাণ করেছি যে আমরা শুধু সুন্দর ফুটবল খেলেই নয়, লড়াই করেও ম্যাচ জিততে পারি।'

Comments

The Daily Star  | English

People cautioned of travelling to India, affected countries as Covid spreads

DGHS has also instructed to enhance health screening and surveillance measures at all land, river, and airports

5h ago