আদালত চাইলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই ধর্ষণ মামলার বিচার করতে পারবে: আইন উপদেষ্টা

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, আদালত চাইলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই ধর্ষণ মামলার বিচার করতে পারবে।

আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ কথা জানান।

তিনি বলেন, 'নতুন সংশোধনী অনুযায়ী আমি আগেই বলেছিলাম বিচার ও তদন্তের সময় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদ।'

তিনি জানান, শুধু শিশু ধর্ষণ মামলার আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া আমরা ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে কিছু ডেফিনেশন এনেছি। শুধু পুরুষ কর্তৃক না যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য করা হচ্ছে। যেকোনো ফর্মে ধর্ষণকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। 

উপদেষ্টা বলেন, 'তৃতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকত। আমরা এই আইনে বিধান করেছি ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে আদালত ডিএনএ সার্টিফিকেট ছাড়াই মামলা দ্রুত বিচার করবে।'

'এছাড়া আমরা ভিকটিমদের প্রটেকশনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করেছি। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছি এবং ধর্ষণকালে জখমের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছি,' বলেন তিনি।

আসিফ নজরুল জানান, আগামী বৃহস্পতিবার এটা চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে আশা করছি। এরপর খুব দ্রুত গেজেট নোটিফিকেশনও হয়ে যাবে। তবে ক্লিয়ার করি, এর সঙ্গে মাগুরা হত্যা ও ধর্ষণ মামলার বিচারের সম্পর্ক নেই। ওই বিচার এগিয়ে চলেছে নিজস্ব গতিতে এবং আমরা মনে করি খুবই দ্রুততার সাথে এই মামলার বিচার হবে।'

ওই মামলার ডিএনএ রিপোর্ট আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই মামলার বিচার শুরু হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

2h ago