চেয়েছিলেন একটি সিঙ্গেল, করলেন রেকর্ড সেঞ্চুরি

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচেই রানের খাতা খুলতে পারেননি। তৃতীয় ম্যাচে তাই স্বাভাবিকভাবেই বাদ পরার তালিকায় ছিলেন হাসান নাওয়াজ। কিন্তু তারপরও তাকে দলে রাখে পাকিস্তান। এবার ঠিকই পুষিয়ে দিয়েছেন এই ওপেনার। তার ব্যাটে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুই শতাধিক রানের লক্ষ্যও হয়ে গেল মামুলী। রেকর্ড সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
অথচ প্রথম দুই ম্যাচে রান না পাওয়ায় এই ম্যাচে অন্তত একটি সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন। নিজের দ্বিতীয় বলেই ফ্লিক করে আদায় করে নেন কাঙ্ক্ষিত রানটি। বাকিটা ইতিহাস। মাত্র ৪৫ বলেই করেন সেঞ্চুরি। যা পাকিস্তানের পক্ষে এই সংস্করণে দ্রুততম। পেছনে ফেলে দেন বাবর আজমের করা ৪৯ বলের সেঞ্চুরিকে। ১৬ ওভারে ম্যাচ জিতে দলও গড়ে নতুন রেকর্ড।
ম্যাচ শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে নাওয়াজ বলেন, 'প্রথম দুই ম্যাচে যেভাবে আউট হয়েছিলাম, তাতে কিছুটা হতাশ ছিলাম। তবে অধিনায়ক ও শাদাব খান আমাকে আমার স্বাভাবিক খেলাটা খেলার জন্য সমর্থন দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম রান পাওয়ার আগে শুধু একটাই ভাবনা ছিল—আগে অন্তত একটা সিঙ্গেল নিতে হবে। সেটি পাওয়ার পর আমি স্বাভাবিক হতে পেরেছি।'
দুর্দান্ত জয়ে অধিনায়ক সালমান আলি আগাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, 'অসাধারণ পারফরম্যান্স। আমরা একদম পরিকল্পনামাফিক খেলেছি। বোলাররা দুর্দান্ত শুরু করেছিল, এরপর দুই তরুণ ব্যাটার দারুণভাবে ব্যাট করেছে। যদি তরুণদের ওপর আস্থা রাখা যায়, তারা ঠিক আজকের মতো ভালো খেলবে। এই উইকেটের গড় রান ২০০, আমি শুধু বলেছিলাম, ভালোভাবে ব্যাট করলে আমরা এই লক্ষ্য তাড়া করতে পারব।'
এদিন পাকিস্তান টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। নিউজিল্যান্ড ২০৪ রান সংগ্রহ করে, যেখানে মার্ক চ্যাপম্যান ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। জবাবে, মাত্র ১৬ ওভারে সহজেই লক্ষ্য অতিক্রম করে পাকিস্তান। নওয়াজের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পাশাপাশি, অধিনায়ক সালমান আলি আগা অপরাজিত অর্ধশতক করেন এবং মোহাম্মদ হারিস ৪১ রান করেন।
এই জয়ের ফলে সিরিজে টিকে থাকল পাকিস্তান। যেখানে এখনো ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ আগামী ২৩ ও ২৬ মার্চ মাউন্ট মঙ্গানুই ও ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত হবে।
Comments