সিমন্সের সঙ্গে ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করল বাংলাদেশ

phil simmons

চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে সরিয়ে ফিল সিমন্সকে কোচ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছিলো বিসিবি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের ভরাডুবির পরও তিনি টিকে যাচ্ছেন আরও লম্বা সময়। আগামী ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কোচের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে বিসিবি।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি, জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে সিমন্স থাকছেন ২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত।

২০২৪ সালের অক্টোবরে সিমন্সকে প্রধান কোচ করে বিসিবি। তার অধীনে দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ দিয়ে শুরু। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারে ওয়ানডে সিরিজ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অভিজ্ঞতা অম্ল-মধুর। টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করার পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হয় হোয়াইটওয়াশ। আবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করে লিটন দাসের নেতৃত্বে খেলা দল।

দীর্ঘমেয়াদী দায়িত্ব পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই উৎফুল্ল সিমন্স, 'দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এই দলের মধ্যে প্রতিভা অনস্বীকার্য, এবং আমি বিশ্বাস করি আমাদের এক সঙ্গে অসাধারণ কিছু অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সামনের যাত্রার জন্য উন্মুখ।'

'ইতিমধ্যেই কিছু অসাধারণ খেলোয়াড়ের সঙ্গে কাজ করে আমি এই স্কোয়াডের মধ্যে প্রচুর প্রতিশ্রুতি দেখতে পাচ্ছি। তাদের দক্ষতা এবং খেলার প্রতি আবেগ আমাকে প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করে। এক সঙ্গে, আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারি এবং সত্যিই বিশেষ কিছু তৈরি করতে পারি।'

এই কোচ প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়দের পূর্ণ বিকশিত হওয়ার প্রবল আশা দেখেন,  'গত কয়েক মাসে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আমার সময় অবিশ্বাস্যভাবে ফলপ্রসূ হয়েছে। এই দলের মধ্যে শক্তি, প্রতিশ্রুতি এবং ক্ষমতা অসাধারণ। আমি এই খেলোয়াড়দের তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত।'

নব্বুই দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলা সিমন্স এর আগে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago