সুন্দরবনে ২ এলাকায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৫.৫ একর বনভূমি

টেপার বিল ও তেইশের ছিলা-শাপলার বিল এলাকার অধিকাংশ গাছ শুকিয়ে গেছে। বিশেষ করে, তেইশের ছিলা-শাপলার বিলে বেশকিছু বড় সুন্দরী গাছের গোড়া পোড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। ছবি: স্টার

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের দুটি পৃথক এলাকায় ভয়াবহ আগুনে প্রায় পাঁচ দশমিক পাঁচ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ির টেপার বিল এলাকায় এক দশমিক পাঁচ একর এবং ধানসাগর টহল ফাঁড়ির তেইশের ছিলা-শাপলার বিল এলাকায় চার দশমিক শূন্য পাঁচ একর বনভূমি আছে।

টেপার বিল ও তেইশের ছিলা-শাপলার বিল এলাকার অধিকাংশ গাছ শুকিয়ে গেছে। বিশেষ করে, তেইশের ছিলা-শাপলার বিলে বেশকিছু বড় সুন্দরী গাছের গোড়া পোড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের তাপে এসব গাছ শুকিয়ে যাওয়ায় দ্রুত মনে যাবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, কিছু অসাধু ব্যক্তি সুযোগ বুঝে এসব ক্ষতিগ্রস্ত গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

জানতে চাইলে কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, 'বর্তমানে ঘটনাস্থলে কোনো সক্রিয় আগুন নেই। আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে, অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য জোয়ারের সময় পানি ছিটানো হচ্ছে। আজও মনিটরিং চলবে, এরপর ফায়ার আউট ঘোষণা করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'পরপর দুটি স্থানে আগুন লাগার কারণে আমাদের দমকলকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আমরা দুটি এলাকা ড্রোন ও জিপিএসের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেছি। জিপিএসের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এখন পর্যন্ত পাঁচ দশমিক পাঁচ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

'এছাড়া, দুটি ঘটনা তদন্তে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। তখন ক্ষয়ক্ষতির আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে,' বলেন তিনি।

এর আগে, গত শনিবার সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ির টেপার বিলে প্রথম আগুন লাগে। রাতভর প্রচেষ্টার পর রোববার সকালে বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরপর বনবিভাগ ড্রোন ব্যবহার করে ঘটনাস্থলে সুপ্ত আগুন ও ধোঁয়ার সন্ধান চালায়। তখন দেখা যায়, কলমতেজী এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তেইশের ছিলা-শাপলার বিলে নতুন করে আগুন লেগেছে। এই আগুন ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলতে থাকে। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

তবে, অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে বুধবার ও বৃহস্পতিবার বনবিভাগ আগুনের এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখবে এবং প্রয়োজন হলে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করবে।

Comments

The Daily Star  | English
Exporters to get Tk 108.5 for a dollar from Aug 1

Taka gains against dollar after several years

Taka gains ground as dollar influx rises, strengthening currency after years

2h ago