রোহিঙ্গাদের সহায়তায় নতুন করে ৭৩ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র

উখিয়া ক্যাম্পে গত ১৪ মার্চ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ছবি: ইউএনবি

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য নতুন করে ৭৩ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তায় ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে এই সহায়তা দেবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে উল্লেখ করেছেন, 'বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে এই খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা ১০ লক্ষাধিক মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করবে।'

'বোঝা ভাগ করে নিতে এই ধরনের জীবন রক্ষাকারী সহায়তায় এগিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ।'

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন যখন 'আমেরিকা ফার্স্ট' এজেন্ডায় বৈদেশিক সহায়তায় ব্যাপক কাটছাঁট করেছে, ঠিক তখনই এই তহবিল ঘোষণা করল।

জাতিসংঘের দুটি সংস্থা সতর্ক করেছিল, তহবিল ঘাটতি কারণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে গত আট বছর ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের রেশন কমে যাবে।

রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্যকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে ওয়াশিংটন প্রায় দুই দশমিক চার বিলিয়ন ডলার দিয়েছে।

কিন্তু জানুয়ারিতে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর তহবিল স্থগিতাদেশের কারণে অন্তত পাঁচটি হাসপাতাল তাদের পরিষেবা কমাতে বাধ্য হয়েছে।

ট্রাম্প এবং তার বিলিয়নিয়ার মিত্র ইলন মাস্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বৈদেশিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি বন্ধ করে এর অবশিষ্ট অংশগুলোকে পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছেন, শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীকে বরখাস্ত করেছেন এবং বিশ্বজুড়ে কয়েক কোটি মানুষ যে পরিষেবাগুলোর ওপর নির্ভরশীল, সেগুলোর জন্য বরাদ্দকৃত বিলিয়ন ডলার বাতিল করেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফেব্রুয়ারিতে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা এবং এই ধরনের সাহায্য প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় যুক্তিসঙ্গত প্রশাসনিক খরচের জন্য একটি ছাড়পত্র মঞ্জুর করেছেন।

চলতি মাসের শুরুতে রয়টার্স জানিয়েছিল, ইউএসএআইডি ভেঙে দেওয়ার তদারকি করা ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার প্রস্তাব করেছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

2h ago