পাওয়েলকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় রেগে আগুন ব্রাভো

ছবি: টুইটার

ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রভম্যান পাওয়েলকে। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে রেগে আগুন হয়েছেন দলটির বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো। তার মতে, এটি উইন্ডিজদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি।

ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) সোমবার এক বিবৃতিতে একাধিক সংস্করণের অধিনায়কত্বে পরিবর্তন আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। চার বছর টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। পাওয়েলকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়েছে আগে থেকেই ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে থাকা শেই হোপকে।

২০২৩ সালের মে মাসে দায়িত্ব পেয়েছিলেন পাওয়েল। তার নেতৃত্বে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা জায়গা করে নিয়েছিল ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বে। অধিনায়ক হিসেবে ৩৩ ম্যাচে মাঠে নেমে ১৬টিতে জিতেছেন পাওয়েল। ঘরের মাঠে ভারত, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারানোর স্বাদও পেয়েছেন।

dj bravo
ফাইল ছবি

পাওয়েল দায়িত্ব হারানোয় তাই বোর্ডের ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন ব্রাভো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, অবিচার করা হয়েছে পাওয়েলের প্রতি, 'ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আবারও আপনারা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের জনগণ এবং ক্রিকেট বিশ্বের কাছে প্রমাণ করলেন যে, খেলোয়াড়দের প্রতি অবিচার চলছেই! একজন সাবেক খেলোয়াড় এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ভক্ত হিসেবে আমি মনে করি, এটি অনায়াসে আমাদের ইতিহাসের অন্যতম বাজে সিদ্ধান্ত।'

ব্রাভো যোগ করেছেন, 'যখন আমাদের টি-টোয়েন্টি দল র‍্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে ছিল, তখন পাওয়েল অধিনায়কত্ব নিয়েছিল এবং সেখান থেকে সে তিন নম্বরে তুলে আনতে পেরেছিল, আর তোমরা এভাবেই তাকে প্রতিদান দিলে। খেলোয়াড়দের প্রতি খারাপ আচরণ কবে বন্ধ হবে! এটা সব বিবেচনাতেই খুবই দুঃখজনক... দয়া করে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নিন।'

আইপিএলের চলতি মৌসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলছেন পাওয়েল। প্রতিযোগিতার শিরোপাধারী ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মেন্টর হিসেবে আছেন ব্রাভো। সিডব্লিউআইয়ের বিবৃতিতে যদিও জানানো হয়েছে, কোচ ড্যারেন স্যামির পরামর্শেই হোপ নেতৃত্ব পেয়েছেন এবং পাওয়েল 'পেশাদারিত্বের' সঙ্গেই সিদ্ধান্তটি মেনে নিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago