ইউনূস-মোদির বৈঠকে হাসিনার প্রত্যর্পণ, সীমান্ত হত্যা ও পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা

থাইল্যান্ডে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক খুবই গঠনমূলক, কার্যকরী ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, 'বৈঠকে আমাদের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যতগুলো ইস্যু ছিল, সবগুলো নিয়েই কথা হয়েছে। আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সবগুলো বিষয়  প্রধান উপদেষ্টা উত্থাপন করেছেন।'

'বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে কথা হয়েছে, শেখ হাসিনা যে ওখানে বসে অনেক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টিকারী মন্তব্য করছেন, সেগুলো নিয়েও কথা হয়েছে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে পানিবণ্টন চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, নতুন করে এই চুক্তি করার বিষয়ে কথা হয়েছে এবং তিস্তার পানিবণ্টন নিয়েও কথা হয়েছে', বলেন তিনি।

এর আগে, থাইল্যান্ডে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলনে ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আজ শুক্রবার সকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সাংরিলা হোটেলে বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়।

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের এটাই প্রথম বৈঠক।

গতরাতে বিমসটেক সম্মেলনের নৈশভোজে দুই নেতার সাক্ষাৎ হয় এবং তারা কুশল বিনিময় করেন।

নৈশভোজে উভয় নেতাকে বেশ কিছু সময় ধরে ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলতে দেখা গেছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এটাই হতে চলেছে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক অগ্রগতি।
 

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

4h ago