ঝুঁকি নিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকে ঢাকায় ফিরছেন নিম্ন আয়ের মানুষ

ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

পবিত্র ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটি শেষে পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের ডালায় রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের অধিকাংশই পোশাককর্মী ও দিনমজুর।

শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টা। গাবতলীতে এসে দাঁড়ায় একটি পণ্যবাহী ট্রাক। বস্তার ওপর অন্তত ১৫ জন মানুষ।

তাদেরই একজন সাকিব হাসান। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ও শ্যালক।

সাকিব জানান, তিনি মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। সেখানেই একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার বাড়ি বগুড়া শহরে।

'সোমবার কারখানা খুলছে। এবার লম্বা ছুটি ছিল, ঘর বন্ধ করে বাড়িতে গিয়েছিলাম, ঘর-টর পরিষ্কার করার ব্যাপার আছে। তাই একদিন আগেই ফিরলাম,' বলেন তিনি।

সাকিব আরও বলেন, 'বাড়ি গিয়ে হিসাবের চেয়ে বেশি খরচ হয়ে গেছে। ফেরার সময় বাস ভাড়া চেয়েছে জনপ্রতি ৮০০ টাকা। আমাকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে ফিরতে হতো। আলুর ট্রাকে জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে ৯০০ টাকায় ফেরা হয়ে গেল।'

ওই ট্রাকেই স্বামীর সঙ্গে ফিরেছেন পোশাককর্মী কহিনুর বেগম। তিনি বলেন, 'ট্রাকে ঝুঁকি আছে। ঈদে বাড়িতে গেলে অতিরিক্ত খরচ হয়েই যায়। আমি পোশাক কারখানায় কাজ করি, আমার স্বামী দোকানে কাজ করেন। যে টাকা পাই, তা দিয়ে চলে না। একটু সাশ্রয়ের জন্য ট্রাকে আসা।'

ট্রাকচালক আব্দুল মালেক জানান, আলু নিয়ে তিনি কারওয়ান বাজার যাবেন। পথে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে তার বাড়তি সাড়ে চার হাজার টাকা আয় হয়েছে।

'তেলের খরচ উঠলো,' বলেন তিনি।

ট্রাক ছাড়াও পিকআপ ভ্যানে ফিরছেন অনেকে। পিকআপ ভ্যানের যাত্রী মজনু মিয়া থাকেন ঢাকার ভাসানটেক এলাকায়।

'আমি দিনমজুরের কাজ করি, কখনো রিকশা চালাই। ১০০ টাকা বাঁচানোও আমার জন্য অনেক বড় বিষয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রাকে আসতে ৪০০ টাকা খরচ হলো। বাসে আসতে দ্বিগুণ খরচ হতো। গরমের দিন, বাতাস খেতে খেতে এলাম, খারাপ লাগেনি। পথে জ্যামও ছিল না,' বলেন মজনু।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi Migrant Workers Deaths Over The Years

In coffins, from faraway lands

Kazi Salauddin, a 44-year-old man from Cumilla, migrated to Saudi Arabia in October 2022, hoping to secure a bright future for his family. But barely a year later, Salauddin, the father of two daughters and a son, died suddenly.

9h ago