ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এ কেমন আউট!

ছবি: সংগৃহীত

জয়ের জন্য শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের তখন দরকার ছিল ৪২ বলে ৭ রান। হাতে অবশিষ্ট একটি উইকেটই। স্ট্রাইকে থাকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে আউট হলেন অদ্ভুত কায়দায়। ডাউন দ্য উইকেটে যাওয়ার পর ক্রিজের ভেতরে ব্যাট ঢোকানোর দুটি সুযোগ থাকলেও বিস্ময়করভাবে তা নিলেন না তিনি!

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ঘটেছে এই ঘটনা। ৪৪তম ওভারে বল হাতে পান গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের অভিজ্ঞ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার নাঈম ইসলাম। তিনি প্রথম ডেলিভারিটি করেন ওয়াইড।

ডানহাতি ব্যাটার সাব্বির ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টা করেন। তবে বল অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে থাকায় কোনো শট খেলেননি। শুধু তাই নয়, অবিশ্বাস্যভাবে অনেক সময় পেয়েও ক্রিজের ভেতরে ব্যাট না ঢুকিয়ে নামিয়ে ফেলেন তিনি। বরং হাঁটু গেঁড়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন যেন আউট হওয়ার! অথচ প্রথমবারের চেষ্টায় স্টাম্প ভাঙতে পারেননি গুলশানের উইকেটরক্ষক আলিফ হোসেন ইমন। দ্বিতীয়বারের তিনি হন সফল।

 

স্টাম্প ভেঙে আউটের আবেদন করেন আলিফ। লেগ আম্পায়ার তখন দ্বারস্থ হন তৃতীয় আম্পায়ারের। টেলিভিশন রিপ্লে চলার সময় একজন ধারাভাষ্যকারকে বলতে শোনা যায়, 'আমি আসলে এখনও বুঝতে পারছি না, ব্যাটার কেন ব্যাটটা ক্রিজে নিলেন না! এখনও নিচ্ছেন না!' ইতোমধ্যে আউটটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়েছে ভাইরাল। কেউ কেউ খুঁজে পাচ্ছেন ফিক্সিংয়ের গন্ধ।

নয়ে নেমে শেষ ব্যাটার হিসেবে দৃষ্টিকটুভাবে স্টাম্পড হওয়া সাব্বির থামেন ৮ রানে। ৩৪ বল মোকাবিলা করলেও কোনো বাউন্ডারি আসেনি তার ব্যাট থেকে। শেষমেশ লো স্কোরিং ম্যাচে ৫ রানে হেরে যায় শাইনপুকুর। ১০ ম্যাচে নবম হারে তারা রয়েছে পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে। সামনে অবনমন এড়ানোর জন্য লড়তে হবে তাদেরকে।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪১ ওভারে ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় গুলশান। তাদের পক্ষে সাকিব শাহরিয়ার ৩৮ ও জাওয়াদ আবরার ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। নিয়ন জামান নেন ৩ উইকেট। জবাব দিতে নেমে শাইনপুকুরও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ৪২ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ১৭৩ রানে। দলটির হয়ে শাহরিয়ার সাকিব ৪০ রান করেন। নিহাদুজ্জামান শিকার করেন ৩ উইকেট।

১০ ম্যাচে ছয়টি জয় ও একটি পরিত্যক্ত ম্যাচের কল্যাণে গুলশানের অর্জন ১৩ পয়েন্ট। চলতি প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় তিনে অবস্থান নবাগত দলটির। ইতোমধ্যে তারা শীর্ষ ছয়ে থাকা নিশ্চিত করে সুপার লিগে জায়গা করে নিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago