‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পাল্টে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের আয়োজনে বাংলা নববর্ষের 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'র নাম পাল্টে 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা' করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের বিভিন্ন দিক জানাতে চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
 
১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে চারুকলা। শুরুতে নাম ছিল 'আনন্দ শোভাযাত্রা'।

নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'।

জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'-কে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।

পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের বিভিন্ন দিক জানাতে চারুকলা অনুষদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

আজ সংবাদ সম্মেলনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, 'আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করিনি, বরং আসল আনন্দ শোভাযাত্রা নামটি পুনরুদ্ধার করেছি।'

এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, '১৯৮৯ সালের প্রথম শোভাযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে আনন্দ শোভাযাত্রা নামটি গৃহীত হয়েছিল। পরে যখন এর নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়, সেই পরিবর্তন একইরকম স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে ঘটেনি।'

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, 'বাইরের কোনো চাপে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অতীতে "মঙ্গল" ব্যানারটি নিয়ে আপত্তি ছিল। ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থায় মঙ্গল শব্দটি এমনভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল, যার ফলে সমাজে নেতিবাচক ধারণার জন্মে। এ কারণেই আমরা রাজনৈতিক আগ্রাসন থেকে মুক্ত ও সকল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক চর্চার মূল চেতনায় ফিরে যেতে চেয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English
no agreement on humanitarian corridor for Rakhine

No agreement on ‘humanitarian corridor’ for Rakhine: adviser

National Security Adviser Khalilur clarified that UN secretary-general did not use the term "corridor", which he said carries specific implications

3h ago