পেনাল্টি কর্নারই এখন বাংলাদেশের 'মূল শক্তি', বললেন অধিনায়ক মিমো

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আসন্ন এএইচএফ কাপে বাংলাদেশের নজর শুধু ট্রফির দিকেই নয়, বরং পরবর্তী এশিয়া কাপে জায়গা করে নেওয়াই মূল লক্ষ‍্য। আর এই লক্ষ্য পূরণে শক্তিশালী পেনাল্টি কর্নার ইউনিটের দিকেই তাকিয়ে আছেন বাংলাদেশ হকি দলের নতুন অধিনায়ক পুষ্কর খিসা মিমো। শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রধান শক্তি হবে পেনাল্টি কর্নার—এমনটাই বিশ্বাস তার।

পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করতে অতীতে বারবার হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশ দল, কারণ দলে তেমন কোনও বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড় ছিল না। তবে এবারের ২৬ সদস্যের দলটি, যারা মঙ্গলবার ভোরে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার উদ্দেশে রওনা দেবে, তাদের মধ্যে চারজন পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বেশ আশাবাদী অধিনায়ক মিমো।

'আমরা গত চারটি এএইচএফ কাপে খেলেছি এবং প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবারও শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছি। তবে এবার চ্যালেঞ্জটা বেশি, কারণ আগের মতো চারটি দল নয়, এবার এশিয়া কাপে যাবে মাত্র দুই দল,' রোববার দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে বলেন মিমো।

৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড মিমো, ২০১৭ সালে ঢাকায় এশিয়া কাপে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের পর এবারই প্রথম পূর্ণ অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামবেন। পেনাল্টি কর্নারের শক্তি নিয়ে বললেন, 'এইবার আমাদের মূল শক্তি হবে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করানো, কারণ এবার আমাদের দলে আছে ড্র্যাগ অ্যান্ড ফ্লিকের বিশেষজ্ঞ—সোহানুর রহমান সবুজ, হুজাইফা হোসেন, আশরাফুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম।'

মামুন উর রশিদের অধীনে দলটি ছয় সপ্তাহের প্রস্তুতি ক্যাম্প করলেও কোনো আন্তর্জাতিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা হয়নি। এটি অবশ্য নতুন কিছু নয়। আগের কমিটিগুলোর মতো এবারো এড-হক কমিটি প্র্যাকটিস ম্যাচ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

'প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। ছেলেরা দীর্ঘদিন পর খেলায় ফিরেছে এবং ফিটনেস ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ উন্নত করেছে। তবে বড় ঘাটতি হচ্ছে, কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলায় আমরা দলের আসল শক্তি যাচাই করতে পারিনি আমরা মালয়েশিয়ায় তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করেছিলাম, কিন্তু তহবিলের অভাবে নানা জায়গায় ঘুরেও তা সম্ভব হয়নি', বললেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও দলের সহকারী ম্যানেজার আবু জাফর তপন।

বাংলাদেশ দলের ম্যাচ সূচি (এএইচএফ কাপ ২০২৫, জাকার্তা)

-  ১৮ এপ্রিল – বাংলাদেশ বনাম কাজাখস্তান

-  ২০ এপ্রিল – বাংলাদেশ বনাম ইন্দোনেশিয়া

-  ২২ এপ্রিল – বাংলাদেশ বনাম থাইল্যান্ড

-  ২৩ এপ্রিল – বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা

-  ২৫ এপ্রিল – সেমিফাইনাল

-  ২৭ এপ্রিল – ফাইনাল

Comments