পুরো ম্যাচটা আমি একা হারিয়ে দিয়েছি: শান্ত

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগের ১০ টেস্টে কোনো জয় ছিল না জিম্বাবুয়ের। দুটি ড্রয়ের বিপরীতে হারের সংখ্যা আটটি। নিজেদের মাটিতে আফগানিস্তান আর আয়ারল্যান্ডের কাছেও পরাস্ত হয় তারা। সেই দলটির কাছেই ঘরের মাঠে হারল বাংলাদেশ। আরও স্পষ্ট করে বললে, শেষদিকে টাইগাররা কিছুটা সম্ভাবনা জাগালেও পুরোটা ম্যাচে জিম্বাবুয়ে দেখায় দাপট। এমন বাজে হারের দায়ভার একা নিজের কাঁধে নিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

বুধবার সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ হেরেছে ৩ উইকেটের ব্যবধানে। আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে খেলতে নামা দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৫৫ রানে। ফলে জিম্বাবুয়ে পায় ১৭৪ রানের লক্ষ্য। ৭ উইকেট হারিয়ে তা ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা। বিফলে যায় বল হাতে মেহেদী হাসান মিরাজের প্রচেষ্টা। তিনি দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট ও সব মিলিয়ে ১০ উইকেট নিলেও কাজ হয়নি।

আগামী ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। তার আগে কীভাবে অধিনায়ক হিসেবে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে অনুপ্রেরণা দেবেন জানতে চাওয়া হলে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, 'দেখুন, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে অবশ্যই অনুপ্রাণিত হতে হবে। তবে অনুপ্রেরণা দিয়ে খুব একটা কিছু হয় না আসলে। যে যে জায়গায় ভুল করেছে, সে সেই ভুলটা যেন না করে, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। আজকের ম্যাচ নিয়ে যদি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেন একজন অধিনায়ক হিসেবে, তাহলে পুরো ম্যাচটা আমি একা হারিয়ে দিয়েছি। সত্যি কথা। কারণ, সকালের ওই আউটটাতেই (সবকিছু) নষ্ট হয়ে গেছে।'

আগের দিনের খেলা শেষে, মুমিনুল হক বলেছিলেন, জিম্বাবুয়েকে চতুর্থ ইনিংসে ৩০০ রানের লক্ষ্য দিতে চায় বাংলাদেশ। তখন তাদের লিড ছিল ১১২ রানের। অর্থাৎ ব্যাটারদের সামনে অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু এদিন সকালে শান্ত খেলেন ব্যাখ্যাতীত এক শট! জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির নির্বিষ শর্ট ডেলিভারি অযথা পুল করে ক্যাচ তুলে ধরেন সাজঘরের পথ। সেটা ছিল দিনের মাত্র দ্বিতীয় বল।

শান্তর 'আত্মহত্যা'র পর টাইগারদের ইনিংস থামে আড়াইশ পেরিয়ে। এতে যে লিড মেলে তা ছিল না পর্যাপ্ত। ফলে দুই স্পিনার মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম লড়াই সত্ত্বেও হার মানে স্বাগতিকরা। এমন পারফরম্যান্সের দায় নিজের ওপর নিচ্ছেন শান্ত, 'তখন যদি একটা ৫০-৬০ রানের জুটি হতো, তাহলে ২২০ (রানের লিড হতে পারত)। ২২০ রানের বেশি লিড হলে আমরা হয়তো ভালো অবস্থানে থাকতাম, সকালে ব্যাটিংয়ের আগে একটা আলাপচারিতাতেও কিন্তু আমি এটা বলেছি। এই পুরো ম্যাচে সবার দিকে আসলে (অভিযোগ) নিয়ে যেতে চাই না। পুরো দায়ভার আমি নিতে চাই। কারণ, খুব বাজে সময়ে আমি আউট হয়েছি।'

বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে চার বছর পর কোনো টেস্ট ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। তাদের সবশেষ জয়টি ছিল ২০২১ সালের মার্চে, আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তাছাড়া, ইতিহাসও গড়েছে তারা। টেস্ট ক্রিকেটে এটাই তাদের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে পেশোয়ারে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬২ রানের লক্ষ্যে ৭ উইকেটে জিতেছিল আফ্রিকার দেশটি।

Comments

The Daily Star  | English

Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days

The interim government has moved to amend the Government Service Act-2018 to allow swift disciplinary action against its employees who will be found guilty of disrupting official activities.

7h ago