সালাহর মতোই কি দুর্ভাগা হবেন কিয়েসা?

মোহামেদ সালাহ। এরমধ্যেই লিভারপুলের কিংবদন্তিদের কাতারে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন তিনি। আগের দিন দলের শিরোপা জয়ের দিনে সাবেক সিটি তারকা সের্জিও আগুয়েরোকে পেছনে ফেলে প্রিমিয়ার লিগে বিদেশি তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। তবে প্রিমিয়ার লিগের শুরুর স্মৃতিটা সুখকর ছিল না তার।

ইংল্যান্ডে প্রথম চেলসির ডেরায় নাম লিখিয়েছিলেন সালাহ। ২০১৪ সালে জানুয়ারিতে যোগ দেওয়ার পরের মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয়ের স্বাদ পেতে পারতেন তিনি। তার দল চেলসি সেবার প্রিমিয়ার লিগ জিতলেও স্বীকৃতি পাননি সালাহ। সবার সঙ্গে করেছেন শিরোপার উৎসব করলেও নিয়মের বেড়াজালে আটকে যান এই মিশরীয় তারকা।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম অনুযায়ী, প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাজয়ী দলের হয়ে মেডেল পেতে হলে অন্তত ৫টি ম্যাচ খেলতে হবে নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে। কিন্তু সেবার মাত্র ৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন সালাহ। প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের স্বীকৃতি পেতে আরও দুটি ম্যাচ খেলতে হতো তাকে।

এবার সালাহর মতোই শিরোপা জিতে মেডেল না পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন ফেদেরিকো কিয়েসা। এই মৌসুমে তাকে সালাহর বিকল্প ভাবনাতেই নেওয়া হয়েছিল তাকে। কিন্তু মৌসুম জুড়ে সালাহর দুর্দান্ত ফর্ম আর চোটের কারণে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন এই ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড।

তবে লিগে এখনও চারটি ম্যাচ বাকি রয়েছে লিভারপুলের। তাই এখনও খেলার সুযোগ রয়েছে কিয়েসার। কিন্তু শঙ্কা থেকেই যায়। কারণ লিভারপুল অন্য কোনো প্রতিযোগিতায় টিকে নেই। তাই খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়ার ভাবনা নেই কোচ আর্নে স্লটের। এছাড়াও সালাহ ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জয়ের সম্ভাবনায় শীর্ষে আছেন। তাই শেষ চার ম্যাচ খেলে গোল সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে চাইবেন তিনি।

তাই শেষ পর্যন্ত সালাহর মতো দুর্ভাগ্য বরণ করে নিতে হতেও পারে কিয়েসাকে। আবার অল্প কিছু সময়ের জন্য হলেও তাকে মাঠে নামিয়ে সুযোগটা করে দিতে পারেন স্লট। তবে কিয়েসা চাইলে সান্ত্বনা নিতে পারেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ফুটবলার ওয়েস ব্রাউনের কাছ থেকে। ২০০৮-০৯ মৌসুমে ৮টি ম্যাচ খেলেও পাননি মেডেল পাননি তিনি। কারণ ২০১২ সালের আগে অন্তত ১০ ম্যাচ খেলতে হতো স্বীকৃতি পেতে।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Persecuted by Arakan Army, Rohingyas fleeing to Bangladesh

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

2h ago