স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

নরসিংদী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল ও জেলা কোকো ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
ওই ব্যবসায়ী মোমেন মিয়া বুধবার নরসিংদী সদর থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত বাকিরা হলেন—আল আমিন মিয়া, বাইজিদ মিয়া, রাব্বি মিয়া ও অলয়। তারা আবুল ফজল ও রেজাউল করিমের অনুসারী।
নরসিংদী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিন্টু কুমার ঘোষ দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রাহ্মণন্দী খালপাড় এলাকায় মোমেন ডোর অ্যান্ড ফার্নিচারের স্বত্বাধিকারী মোমেন উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্তরা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদা না পেয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দোকানে এসে তারা মোমেনকে মারধর করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্তরা তার ওপর দেশীয় দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মোমেনের অভিযোগ, তার গলা থেকে স্বর্ণের মালা ও দোকানের ক্যাশ বক্স থেকে নগদ ১০ লাখ টাকা অভিযুক্তরা নিয়ে গেছেন।
মোমেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চাঁদার জন্য একাধিকবার তারা আমাকে হয়রানি ও মারধর করেছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।'
পিন্টু কুমার ঘোষ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি এবং অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হবে। এরপর আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।'
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবুল ফজল। তিনি বলেন, 'চাঁদা চাওয়ার ঘটনা মিথ্যা। মোমেন আমার চাচাতো ভাই। আমার কিছু জুনিয়রের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়েছে, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মিটমাট করে দিয়েছি।'
'আমি শেখেরচর বাজারের একজন ব্যবসায়ী। আমার ভালো সুনাম রয়েছে। কারও কাছে চাঁদা চেয়েছি, এ রকম কোনো রেকর্ড নেই। আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে,' দাবি ফজলের।
তবে বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Comments