কিংবদন্তি মান্না দের জন্মদিনে তার জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা

উপমহাদেশের সংগীত অঙ্গনের সবচেয়ে বড় কিংবদন্তিদের একজন মান্না দে। আজ পহেলা মে, এই সুরসম্রাটের ১০৬তম জন্মদিন।
সাত দশকের চেয়েও দীর্ঘ সংগীত জীবনে প্রায় চার হাজার গান গেয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। ১১ বছর আগে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেও তার অমর সৃষ্টিগুলো এখনো আমাদের সঙ্গে আছে।
বরেণ্য এই শিল্পীর জন্মদিনে আমরা স্মরণ করছি তার সংগীত জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:
জন্ম ১৯১৯ সালের পহেলা মে, কলকাতায়। মহামায়া ও পূর্ণা চন্দ্র দের সন্তানকে জন্মকালে নাম দেওয়া হয়েছিল প্রবোধ চন্দ্র দে।
ছোটবেলায় সংগীতে হাতেখড়ি হয় কাকা, কৃষ্ণ চন্দ্র দের কাছে। কৃষ্ণ চন্দ্র দে ছিলেন উপমহাদেশের সংগীতের আরেক প্রবাদ পুরুষ।
১৯৪২ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে কাকার হাত ধরে বলিউড সিনেমায় অভিষেক। 'তামান্না' নামের সেই ছবিতে প্রথম ডুয়েট গান করেন মান্না দে। কৃষ্ণ চন্দ্র দে সেই ছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন।
একক গায়ক হিসেবে প্রথম সুযোগ আসে 'রামরাজ্য' সিনেমায়। ১৯৪৩ সালের সেই ছবিতে 'গায়ি তু তো গায়ি সীতা সতী' গানে কণ্ঠ দেন তিনি। ১৯৫০ সালের 'মাশাল' নামের আরেকটি ছবিতে শচীন দেববর্মণের সঙ্গে জুটি গড়েন মান্না।
ভারতের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ১৯৫৩ সালে 'দো বিঘা জমিন' মুক্তি পাওয়ার পর। লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে এই সিনেমার দুটি গানে কণ্ঠ দেন তিনি।
১৯৫৩ সালে সুলোচনা কুমারণকে বিয়ে করেন মান্না দে। পরে এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে সুরোমা ও সুমিতা নামের দুই কন্যা।
'মেরে হুজুর' সিনেমার গানের জন্য ১৯৬৯ সালে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মান্না দে।
বলিউডের পাশাপাশি অনেক বাংলা সিনেমাতেও গান গেয়েছেন তিনি। এর বাইরে মৈথিলী, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, মারাঠি, কন্নড়, মালায়লাম ভাষাতেও আছে তার গান।
২০০৫ সালে মান্না দের আত্মজীবনী 'জীবনের জলসাঘরে' প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সালে তাকে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র মুক্তি পায়। এই ছবির শুটিং হয়েছে কলকাতার কফি হাউজে।
সংগীতে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, দাদা সাহেব ফালকে ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই গুণী শিল্পী।
২০১৩ সালের সালের ২৪ অক্টোবর পরলোকগমন করেন মান্না দে।
তথ্যসূত্র: মান্না দের আত্মজীবনী 'জীবনের জলসাঘরে' ও 'আনন্দলোক'।
Comments