'রেফারির সিদ্ধান্তের কারণে ফলাফলে অন্যায় হয়েছে'

পোলিশ রেফারি সিমোন মার্সিনিয়াককে সেমি-ফাইনালের রেফারি ঘোষণার পরই শঙ্কা প্রকাশ করেছিল বার্সেলোনা। এই রেফারির 'রিয়াল মাদ্রিদ প্রীতি'র অনেক কিছুই সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল। শেষ পর্যন্ত রেফারির অনেক বিতর্কিত সিদ্ধান্তই গিয়েছে বার্সেলোনার বিপক্ষে। আর এই কারণেই ফলাফল বার্সেলোনার পক্ষে আসেনি বলে মনে করেন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।

সানসিরোতে মঙ্গলবার রাতে রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে ৩-৪ গোলের ব্যবধানে ইন্টারের কাছে হেরে যায় বার্সেলোনা। প্রথম লেগের ম্যাচ ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল। ফলে ৭-৬ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালের টিকিট পায় ইতালিয়ান দলটি।

তবে নির্ধারিত সময়েই জিততে পারতো বার্সেলোনাই। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে গোল হজম করে দলটি। যে গোলের বিল্ডআপে জেরার্দ মার্তিনকে ফেলে দিয়ে বল কেড়ে নেন ডামফ্রিস। কিন্তু রেফারি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তার পাস থেকেই শেষ মুহূর্তে সমতাসূচক গোলটি করেন আচের্বি।

ম্যাচ শেষে নিজের শিষ্যদের নিয়ে গর্বিত ফ্লিক তীব্র সমালোচনা করেছেন রেফারির। জার্মান কোচ বলেন, 'ফলাফলে আমি হতাশ, দলের পারফরম্যান্সে নয়। যা হওয়ার তাই হয়েছে, আমরা ছিটকে গেছি, তবে আবার চেষ্টা করব—কারণ আমরা সমর্থকদের খুশি করতে চাই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ই ছিল আমাদের লক্ষ্য, এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে।'

'এই খেলোয়াড়দের জন্য আমরা গর্বিত হতে পারি, যেমন আমি গর্বিত। ফুটবলে জয়-পরাজয় থাকবেই, আমরা সবাই এর থেকে শিখব,' যোগ করেন এই কোচ।

এরপর রেফারিং নিয়ে প্রথমবারের মতো মন্তব্য করে বলেন, 'আমরা মনে করি রেফারির কয়েকটি সিদ্ধান্তের কারণে ফলাফলটা অন্যায্য হয়েছে—এটা আমাকে বলতেই হচ্ছে। আমি রেফারিকে নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না, তবে প্রতিটি ৫০-৫০ সিদ্ধান্তই প্রতিপক্ষের পক্ষে গেছে, যেটা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে।'

রেফারিং নিয়ে বারবার প্রশ্ন আসায় ফ্লিক বলেন, 'আমি রেফারিকে যা বলার, তা বলেছি। এখন তা আবার বলতে চাই না। এটা আমার দলের জন্যও অন্যায় হবে, যারা অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে।'

তবে ইন্টারকে প্রশংসা করতেও ভুল করেননি তিনি, 'ইন্টারও খেলেছে, তাদের ভালো ফরোয়ার্ড আছে, তারা ভালো ডিফেন্ড করে, তাদের গেমে সমন্বয় আছে। এটা আমাদের জন্য শেখার একটি ধাপ। আমরা শিখছি এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে ফিরব।'

এখন এল ক্লাসিকো নিয়ে ভাবছেন বার্সা কোচ, 'আমরা ট্রফি জয়ের জন্য খেলি, এবং রোববার আমাদের সামনে কঠিন এক ম্যাচ। প্রস্তুতির জন্য তিন দিন সময় আছে। খেলোয়াড়রা যখন ভোর ৪টায় বাড়ি ফিরবে, তখন তারা গর্বের সঙ্গে আয়নায় নিজের দিকে তাকাতে পারবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Banks see sluggish deposit growth as high inflation weighs on savers

Banks have registered sluggish growth in deposits throughout the current fiscal year as elevated inflation and an economic slowdown have squeezed the scope for many to save, even though the interest rate has risen.

16h ago