বাংলাদেশকে সিরিজে হারানোয় এগিয়ে যাওয়ার সিঁড়ি দেখছেন আমিরাত অধিনায়ক

বাংলাদেশের সর্বনাশ কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের তো পৌষমাস! মাত্র পাঁচ মাস আগেই সৌদি আরবের মতন দলের বিপক্ষে হেরেছিলো যে দল, সেই তারাই এখন বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অভাবনীয় জয়ে সাড়া ফেলার পর আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম মনে করছেন, এই জয় দেশটির ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গঠনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে সাহায্য করবে।

সিরিজটি আইসিসির  এফিটিপিতে ছিলো না। দুই বোর্ডের সমঝোতায় দুই ম্যাচের সিরিজের আয়োজন করা  হয়, বাংলাদেশের অনুরোধে ম্যাচ বাড়ে আরেকটি। সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে  বড় কিছু জয়ে পরিসংখ্যান ভারি করার বাংলাদেশের স্বপ্ন হয়েছে বুমেরাং। বরং পুরো ফায়দা ঘরে তুলেছে আমিরাত। তিন ম্যাচের সিরিজ তারা জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।

এই সিরিজটি আমিরাত খেলেছে পাঁচজন অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে নিয়ে। তারাই করে ফেলেন বাজিমাত।  বুধবার রাতে শেষ টি-২০ ম্যাচে ১৬২ রান তাড়ায় আমিরাত জয় পায়  উইকেটে।

এই ম্যাচে শুরুতে আউট হলেও প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটি করে অধিনায়ক ওয়াসিমই সিরিজের সেরা তারকা। সিরিজ সেরা হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আশাবাদে ভরপুর হয়ে উঠে তার কণ্ঠ, '(আমি) খুব খুশি যে তারা পুরো সিরিজ জুড়েই খুব ভালো খেলেছে। আমরা আমাদের আশা হারাইনি এবং আমরা সবাইকে আশা দিয়েছিলাম। আমরা শারজায় বা যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো স্কোর তাড়া করতে পারি এবং আমরা এখানে এতে অভ্যস্ত। সত্যি বলতে, আমি খুব খুশি।'

মূলত ভারত ও পাকিস্তান থেকে অভিবাসী হিসেবে পাড়ি জমানো দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির খেলোয়াড়দের নিয়েই চলছে আমিরাতের ক্রিকেট। সেই তারাই যখন সর্বোচ্চ মঞ্চে এমন ফল করতে পারছেন সেটা এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রেরণা হচ্ছে ওয়াসিমদের,   'আমি খুব খুশি যে আমরা ইতিহাস তৈরি করেছি। এই সিরিজটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভবিষ্যতে আমাদের জন্য খুব সহায়ক হবে। এবং আমি ছেলেদের পারফরম্যান্সে খুব খুশি।'

ওয়াসিম ছাড়াও আসিফ খান, আলিশান শরাফু, রাহুল চোপড়া এবং হায়দার আলীরা নজর কেড়েছেন সিরিজজুড়ে। বাংলাদেশের মতন দলকে সিরিজে হারিয়ে পাওয়া বিশ্বাস ধরে  ছুটতে চায় তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

A captain cannot abandon ship, especially when the sea is turbulent

1h ago