৫ মাস পর চিলমারী-রৌমারী রুটে চললো ফেরি, জনমনে স্বস্তি

ছবি: স্টার

প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।

এতে যাত্রী, ব্যবসায়ী ও পণ্য পরিবহনকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিএ) চিলমারী কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান জানান, 'নাব্যতা সংকটের কারণে দীর্ঘ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।'

নাব্যতা সংকটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলার পণ্য পরিবহনে তৈরি হয়েছিল বিপর্যয়।

কুড়িগ্রাম থেকে আসা ট্রাকচালক মহুবর রহমান বলেন, 'ফেরি চালু হওয়ায় অনেক স্বস্তি লাগছে। এ পথ সময় ও খরচ সাশ্রয়ী।'

চিলমারীর রমনা ঘাটে যাত্রী শফিকুল ইসলাম বলেন, 'ফেরি না থাকায় আমরা নৌকায় নদী পার হয়েছি। তাতে খরচও বেড়েছে, সময়ও বেশি লেগেছে। এখন নিরাপদে আর কম খরচে চলাচল করতে পারছি।'

আরেক যাত্রী দবির উদ্দিন বলেন, 'মোটরসাইকেল নিয়ে নৌকায় পার হতে ২৫০ টাকা খরচ হতো। ফেরিতে লাগে মাত্র ৫০ টাকা। এছাড়া নৌকায় ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দেওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।'

রৌমারীর ব্যবসায়ী তাহের আলী মণ্ডল বলেন, 'ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে নৌকায় পণ্য আনতে হতো। ফেরি থাকলে আমাদের ব্যবসার অনেক উপকার হয়।'

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিলমারী-রৌমারী রুটে প্রতিদিন চারবার ফেরি চলাচল করে। প্রত্যেক ফেরিতে গড়ে ২০০ যাত্রী, ১০-১২টি পণ্যবাহী ট্রাক ও ১০০টি মোটরসাইকেল ও অন্যান্য হালকা যান পার হয়।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ। সে সময় ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা সংকট এতটাই প্রকট ছিল যে, ড্রেজিং করেও কার্যকর ফল পাওয়া যায়নি। যে কারণে ড্রেজিং কার্যক্রমও বন্ধ রাখা হয়।

বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, 'ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবাহ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। তাই নির্দিষ্ট কোনো স্থানে ড্রেজিং করলেও দীর্ঘ স্থায়ী সুফল পাওয়া যায় না। পানি বাড়ায় প্রাকৃতিকভাবেই নাব্যতা ফিরে এসেছে, তাই ফেরি চালু করা সম্ভব হয়েছে।'

Comments