‘ক্রিকেট শুধু অনুশীলনের নয়, মানসিকতারও ব্যাপার’, লিটনের উপলব্ধি

Litton Das

ম্যাচ শেষে হতাশ, বিধ্বস্ত লিটন দাস নিচু গলায় সোজাসাপ্টা বললেন, 'ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং কোনটাই ভালো করিনি।' তা যে করতে পারেননি ম্যাচের ফলই সায় দিচ্ছে। তবে এই করতে না পারার পেছনে স্রেফ অনুশীলন নয়, মানসিকতার জায়গায় ঘাটতি দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হেরে পাকিস্তান গিয়ে স্বাগতিক দলের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। বুধবার রাতে লাহোরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কয়েকটি ধাপে লড়াইয়ের আভাস দিলেও সফরকারী দল শেষ পর্যন্ত হেরেছে বড় ব্যবধানে। পাকিস্তানের ২০১ রানের জবাবে করতে পেরেছে ১৬৪ রান।

টস হেরে বোলিং পেয়ে শুরুটা ভালো করেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যায়নি। ৫ রানে পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে তুলে নিলেও মাঝের ওভারে আলগা বোলিং, বাজে ফিল্ডিং ভুগিয়েছে দলটিকে। চাপ তৈরির সময়ে পড়েছে ক্যাচ, বাজে বলে খসেছে রান।

রান তাড়ায় বেশ ভালো উইকেটে লড়াই জমানোর সুযোগ ছিলো। তানজিদ হাসান তামিমের আগ্রাসী শুরুর পর অধিনায়ক লিটন দাসের ব্যাটে ম্যাচে ভালোভাবেই ছিলো। কিন্তু এরপর খেই হারানো। তাওহিদ হৃদয়ের অদ্ভুত মন্থর অ্যাপ্রোচ মিলিয়ে আর সম্ভাবনা উজ্জ্বল করতে পারেনি দলটি।

পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে তাই লিটনের হতাশা, 'হ্যাঁ অবশ্যই (হতাশাজনক)। ম্যাচজুড়ে আমরা ভালো ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করিনি। আমি কোনো কিছু বলছি না... তবে আমাদের শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সামনে এখনও দুটি ম্যাচ আছে।'

'হ্যাঁ অবশ্যই (ব্যাটিং-বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা প্রয়োজন)। শুধু ব্যাটিং-বোলিং নয়, আমাদের ফিল্ডিংও ভালো করতে হবে। গতিময় খেলায় আপনাকে ভালো ফিল্ডিং করতে হবে। আমরা এই মুহূর্তে ভালো ফিল্ডিং করছি না।'

রান তাড়ায় তিনে নেমে দলের হয়ে ৩০ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন লিটন। এই ডানহাতি ব্যাটার মনে করেন ২০২ রান করে ম্যাচ জেতা ছিলো খুব সম্ভব। ব্যাটাররা গতিময় আউটফিল্ড, ভালো উইকেটে মর্যাদা দিতে পারেননি, 'আমি নিশ্চিত এই মাঠে ২০০ রান তাড়া করা সম্ভব। কারণ এই মাঠ খুবই গতিময়। উইকেটও ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো। আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। আমাদের শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।'

শুক্রবারই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। এটিতে না জিতলে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে। তবে এই ম্যাচের আগে বাড়তি অনুশীলনের চেয়ে সংকট কাটাতে চিন্তার জায়গায় উন্নতির দরকার দেখছেন লিটন, 'অনুশীলন করে (কোনো পরিবর্তন) নয়। মানসিকতার জায়গা থেকে আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমার মনে হয়, ক্রিকেট শুধু অনুশীলনের ব্যাপার নয়। আমাদের ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করতে হবে এবং মাঠে বাস্তবায়ন করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

6h ago