বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব চায় এয়ারবাস ও মেনজিস এভিয়েশন

প্রতীকী ছবি

ইউরোপীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস এবং ব্রিটিশ উড়োজাহাজ সংস্থা মেনজিস এভিয়েশন বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার হোটেলে পৃথক বৈঠকে কোম্পানি দুটি তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে।

এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াউটার ভ্যান ওয়ার্শ বলেন, 'আমরা বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার দেশ হিসেবে দেখছি।'

কোম্পানিটি বাংলাদেশের জাতীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সঙ্গে কাজ করতে এবং বিমানকে লাভজনক সংস্থায় রূপান্তরে সহায়তা করতে আগ্রহী।

ভ্যান ওয়ার্শ উল্লেখ করেন, এয়ারবাস প্রতি বছর ৮০০ উড়োজাহাজ সরবরাহ করে এবং হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান তৈরিতেও সক্ষম।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বিমানের বহর আধুনিকীকরণের প্রস্তাবে বাংলাদেশ আগ্রহী, কিন্তু যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য সময় প্রয়োজন।

ভ্যান ওয়ার্শকে তিনি বলেন, 'আমি এটা বুঝতে চাই যে কী করা যেতে পারে, কী করা উচিত। তাই আপনার কথা শুনব। তবে শিগগির কোনো সিদ্ধান্ত আশা করবেন না। আমাদের সবকিছু নতুনভাবে দেখতে হবে।'

ভ্যান ওয়ার্শ জানান, বাংলাদেশ যদি বিমানের বহরে এয়ারবাসের উড়োজাহাজ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ৮৫ শতাংশ অর্থায়নের ব্যবস্থা হতে পারে রপ্তানি ঋণ সংস্থার (ইসিএ) মাধ্যমে।

লন্ডনভিত্তিক মেনজিস এভিয়েশন ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এবং এয়ার কার্গো পরিষেবা দিতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। অন্তত ৬৫টি দেশের ৩০০টিরও বেশি বিমানবন্দরে এ ধরনের কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

ড. ইউনূসকে মেনজিসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ওয়াইলি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে সহযোগিতা করতে চাই।'

ওয়াইলি আরও বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং চুক্তি পেলে কোম্পানিটি তাদের ৬৫ হাজার কর্মীর একটি অংশের জন্য ঢাকাকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিণত করবে।

Comments

The Daily Star  | English

Trump says no summit deal reached with Putin over ending war in Ukraine

The anticlimactic end to the closely watched summit was in stark contrast to the pomp and circumstance with which it began

45m ago