বাংলাদেশ ছাড়লেন কাবরেরা, সঙ্গী হামজা-শমিতও

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশ ছেড়েছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা, তার সঙ্গে দুই প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী ও শমিত সোম দেশ ছেড়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দলের ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন সদস্য।

হামজা ও শমিত পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভোর ৬টায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ইংল্যান্ড ও কানাডার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সকাল ৪টার দিকে দলীয় হোটেল থেকে রওনা হন এ দুই প্রবাসী ফুটবলার।

৪ জুন ঢাকায় এসে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ম্যাচ খেলেন শমিত। যদিও এর আগে কানাডার ক্যাভালরি এফসির হয়ে ক্লাব ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে হামজা, যার ক্লাব মৌসুম ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে, তিনি দেশে ফিরে গেলেন নতুন মৌসুমের প্রস্তুতির জন্য।

তবে ইতালিতে জন্ম নেওয়া আরেক প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে ফেনীতে নিজের পরিবারের সঙ্গে এক সপ্তাহ কাটানোর জন্য রওনা হয়েছেন।

তবে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু কোচ কাবরেরা। ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যেই তিনি স্পেনের উদ্দেশে হঠাৎই ঢাকা ত্যাগ করেন। অনেকেই আশা করেছিলেন, তিনি অন্তত একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা সভা বা বাফুফে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন। কিন্তু আগের দৃষ্টান্তের মতোই, শিলংয়ে সাম্প্রতিক একটি ম্যাচ শেষে যেভাবে তিনি পরদিনই ঢাকা ছাড়েন, এবারও তাই করলেন।

গত আড়াই মাসে কাবরেরা দেশে ছিলেন মাত্র তিন সপ্তাহের মতো। এপ্রিল ও মে মাসে যখন ঘরোয়া ফুটবলের ব্যস্ততম সময় ছিল, তখনও তিনি স্পেনেই অবস্থান করেন। মে ৩০ তারিখে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে তিনি ঢাকায় আসেন এবং খেলোয়াড় নির্বাচন করেন মূলত অনলাইনে পাওয়া ফুটেজ ও কোচিং স্টাফদের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করে।

ক্যাম্প শুরুর সময় প্রশ্ন করা হলে কাবরেরা দাবি করেন, তিনি 'সবগুলো ঘরোয়া ম্যাচ ভিডিওতে দেখে নিয়েছেন', যা বাফুফে সরবরাহ করেছিল। কিন্তু দেশের ফুটবলে ভিডিও সম্প্রচারের মান যেহেতু সীমিত, তাই এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন অনেকেই।

দলীয় ব্যবস্থাপনার এক সদস্য বিস্ময় প্রকাশ করেন কোচের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে। বিশেষ করে ভুটান ম্যাচের পারফর্মারদের না রাখায় ও রাকিব হোসেনকে তার স্বাভাবিক ডান উইং পজিশনের বাইরে খেলানোর বিষয়টি নিয়ে।

শিগগিরই জাতীয় দল কমিটির একটি বৈঠক আহ্বান করা হবে বলে জানান দলীয় ব্যবস্থাপনার সেই সদস্য। যেখানে কাবরেরা যদি দেশে না থাকেন, অন্তত ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন এবং পুরো কোচিং স্টাফের পারফরম্যান্স নিয়ে মূল্যায়ন করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Polls could be held in mid-February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus has said the next general election could be held in the week before the start of Ramadan in 2026.

1h ago